বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সান্তাহার লকু পশ্চিম কলোনীতে নওগাঁর গোলাম রব্বানী ওরফে সুজন (৪৭) কে স্ত্রীর পরকীয়ার কারনে নির্মম ভাবে খুনের শিকার হতে হয়েছে। নিহত হবার ঘটনার মাত্র চার দিনের ব্যবধানে আদমদীঘি থানা পুলিশের একটি টিম এই হত্যাকান্ড ঘটনা উদঘাটনে সক্ষম হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সান্তাহার পুলিশ ফাাঁড়ির পরিদর্শক মুসা মিয়া।
গ্রেফতারকৃত আসামী নওগাঁর কৃর্তীপুরের ইউপি সদস্য আতোয়ার রহমান বাচ্চু, জিয়াউল হক জিয়া ও আসাদুর রহমান রাজ্জাক আদালতে সুজন হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে এই হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানন্দি দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি প্রদান করে। আসামীদের আদালত জেল হাজতে প্রেরন করেছেন।
আসামীদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে বলা হয় নওগাঁ সালেবাজ গ্রামের গোলাম রব্বানী ওরফে সুজনের স্ত্রী উম্মে হাবিবা ওরফে জারকার সাথে আসামী আতোয়ার রহমান বাচ্চুর পরকীয়ার কারনে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রী জারকা স্বামীকে তালাক দেয়। এতে স্বামী স্ত্রী ও কথিত প্রেমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।এরপর একমাত্র মেয়ে সুজাতার নামে থাকা কিছু সম্পত্তি স্ত্রী জারকা বিক্রি করলে বিরোধটি চরম আকার ধারন করে। স্ত্রী জারকা ও মেয়ে সুজাতা সান্তাহার লকু পশ্চিম কলোনীতে তার মামা নাছিমের বাসায় থাকেন।
এদিকে মেয়ে সুজাতার দেয়া তথ্যানুসারে গোলাম রব্বানী সুজনকে কৌশলে গত ২৯ জুলাই গভীর রাতে বগুড়ার সান্তাহারে মামা নাছিমের বাসায় ডেকে নিয়ে স্ত্রী জারকাসহ অপর আসামীরা কেউ সুজনের ঘাড় মটকিয়ে, কেউ বালিশ চাপা ও কেউ দুই পা ও হাত আটকিয়ে সুজনকে হত্যা করে পার্শ্বের পুকুর পাড়ে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ৩০ জুলাই পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। ওসি আবু সায়িদ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, প্রথমে হত্যাকান্ডটি ক্রোলেস থাকলেও নিহতের মেয়ে সুজাতার দেয়া তথ্যানুসারে অপর আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সুজন হত্যার রহস্য চার দিনেই উদঘাটন করা সম্ভব হযেছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস