সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

স্ত্রীর পরকিয়ার জেরে খুন হলেন এড. রথীশ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৬৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, রংপুর প্রতিনিধি: স্ত্রী স্নিগ্ধা ভৌমিক এবং স্নিগ্ধার প্রেমিক কামরুল মাস্টার মিলেই খুন করেছে রংপুর বিশেষ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিককে। স্নিগ্ধা এবং কামরুল দীর্ঘ দুই মাস ধরে হত্যার পরিকল্পনা করে। তারা উভয়েই তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আজ বুধবার রংপুর র্যাপব-১৩ অফিসে সংবাদ সম্মেলনে র্যাদবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এ হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগেই তাজহাট মোল্লা পাড়ার দুই কিশোরের সহযোগিতায় ২৮শে মার্চ একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরের মেঝের বালু সরিয়ে গর্ত করে রাখে তারা। পরের দিন রাতে ভাত ও দুধের সঙ্গে ১০টি ঘুমের বড়ি খাওয়ানো হয়। এরপর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে স্নিগ্ধা ও কামরুল মিলে তাকে হত্যা করেন।
র্যা ব মহাপরিচালক জানান, এরপর শিক্ষক কামরুল পরদিন শুক্রবার ভোর পাঁচটায় রথীশের বাড়ি থেকে বের হন।
সকাল নয়টায় তিনি একটি ভ্যান নিয়ে আসেন। লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী তাঁর প্রেমিকের সহায়তায় একটি আলমারি পরিবর্তনের নাম করে সেই আলমারিতে লাশ ভরে নিয়ে তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে পুঁতে রাখেন। ওই আলমারি বহন করে ভ্যানে তোলার কাজে তিনজন ব্যক্তি নিয়োজিত ছিল, তাদের কামরুল ঠিক করেন।
র্যা বের মহাপরিচালক জানান, রথীশ চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যা ব মঙ্গলবার নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যাকান্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে জানান। এরপর র্যা ব মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় শহরের তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। রাত আড়াইটায় নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই সুশান্ত ভৌমিক ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ছিলেন রংপুর আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রংপুর বিভাগের ট্রাস্টি, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষী ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com