প্রায় সাত মাস আগে বিয়ে হয় পারুল আক্তার ও শান্ত মল্লিকের। শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নেন। বিদেশ না গিয়ে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলেন। টাকার হিসাব চাওয়ায় দাম্পত্য কলহের জেরে খুন হন পারুল আক্তার।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে সিআইডির এলআইসি শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টা থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার মধ্যে পারুলকে হত্যা করেন স্বামী শান্ত মল্লিক।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঘাতক স্বামী আত্মগোপনে চলে যান। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা অলী আহম্মদ শান্ত মল্লিকের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন।
পরে শনিবার (১৯ মার্চ) রাতে শরিয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে শান্ত মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়।
খায়রুল আমিন বলেন, পারুল আক্তার প্রায় সাত বছর জর্ডানে চাকরি করে টঙ্গীর দাড়াইল এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি। জর্ডানে থাকাকালে শান্ত মল্লিকের বোন তামান্নার সঙ্গে পারুলের সুসম্পর্ক ছিল। সেই সুবাদে শান্ত মল্লিকের সঙ্গে পারুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
প্রায় সাত মাস আগে দুই লাখ টাকা দেনমোহরে ইসলামি শরীয়াহ অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শান্ত মল্লিক বিদেশে যাওয়ার কথা বলে পারুল আক্তারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার নেন। তবে নেশা করে ও জুয়া খেলে তা শেষ করে ফেলেন।
অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন বলেন, বেশ কিছুদিন পর পারুল বিদেশ যাওয়া এবং তার কাছ থেকে নেওয়া টাকা ও স্বর্ণালংকারের বিষয়ে স্বামীর কাছে জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। টাকা চাওয়া নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শান্ত মল্লিক পারুলের গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে দ্রুত পালিয়ে যান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ