বাংলা৭১নিউজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামের লাশ দাফন করা হয়েছে রাজশাহী নগরীর কামারুজ্জামান চত্বর সংলগ্ন গোরহাঙ্গা কবরস্থানে স্ত্রী আখতারা বেগমের পাশে।
আজ শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে উপশহর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংঘ মাঠে মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। তারপর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা প্রশাসক এসএ কাদের, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মান্নান ও নজরুল ইসলামের মেয়ে জামাই অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার আগে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল ১০টায় তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুরের বেগুনবাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তফা কামাল, সাবেক এমপি জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) রাজশাহী ব্রাঞ্চের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ছিলেন। তার স্ত্রী আখতারা বেগম রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষক। সম্প্রতি তারা দুজনই অবসরে যান। উপশহর এলাকার এক নম্বর সেক্টরের ৩১৯ নম্বর বাড়িটিতে থাকতেন নজরুল ইসলাম ও আখতারা বেগম দম্পতি। তাদের দুই মেয়ে নাজনীন আখতার কাঁকন ও নারগিস আখতার কনক। বড় মেয়ে কাঁকনের বিয়ে দিয়েছেন। ছোট মেয়ে কনক ঢাকার উত্তরায় উইমেনস মেডিক্যাল কলেজে পড়ছে। তারা দুজনই ঢাকায় থাকেন। বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর নজরুল ইসলাম ও আখতারা বেগম দম্পতি বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকতেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস