সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

স্ত্রীর অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে ফেলায় স্বামীকে হত্যা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১১ মার্চ, ২০২০
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(সিলেট)প্রতিনিধি: সিলেটের ওসমানীনগরে জেলে সতিন্দ্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ দু’জনের দীর্ঘ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া দু’জন হলেন- ওসমানীনগর থানার মোবারকপুর গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস (২৯) এবং একই থানার খাডুকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস (৩০)।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সজেন্দ্র হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

জবানবন্দিতে তারা জানায়, নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসের সাথে তাদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের আগে তাদের সাথে যৌনসম্পর্ক দেখে ফেলেন ও স্ত্রীকে মারধর করায় পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ খুন করার পর গজেন্দ্রের লাশের গলায় পাথর বেধে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন কথা জানায় নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাস, সন্ধ্যা রানীর কথিত প্রেমিক উপজেলার কারিকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস ও একই ইউপির মোবারকপুর গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস।

ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম মাইন উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রতন লাল দেব জানান, আসামিরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানায়। পরে সিলেটে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় তারা।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে নিহত সতিন্দ্রের বড় ভাই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর ইউপির চকিয়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে রাকেশ দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ওসমানীনগর থানায় (মামলা নং-০৪) দায়ের করেন।

এদিকে গত সোমবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের পর সৎকার করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২ মার্চ রাত ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুর ইউপির চকিয়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে সজেন্দ দাস তার শ্বশুরবাড়ি ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউপির মোবারকপুরস্থ বাড়ি থেকে সহকর্মীদের সঙ্গে মাছ ধরতে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

এরপর গত ৩ মার্চ নিহতের সম্পর্কীয় ভাগ্নে নেপাল দাস বাদি হয়ে সজেন্দ্র নিখোঁজের ব্যাপারে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন।

নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর গত রোববার দুপুরে গলায় রশি দিয়ে পাথর বাধা সজেন্দ্রের লাশ উপজেলার সাদিপুর ইউপির সাদিপুর সেতুর পূর্ব পাশে সাদি খাল থেকে উদ্ধার করে ওসমানীনগর থানাপুলিশ।

বাংলা৭১নিউজ/এমকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com