মানিকগঞ্জের ঘিওর সদর ইউনিয়নে মাজেদা বেগম (৩৩) নামে এক নারীকে হত্যার পর তার মরদেহ ধলেশ্বরী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ জুন) সকালে ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে উপজেলার ঘিওর সদর ইউনিয়নের কুস্তা (নদীর পাড়) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
নিহত মাজেদা উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের বালিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ছবেদ আলীর মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি ওই এলাকার মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে মাজেদার বিয়ে হয়েছিল রাজবাড়ীতে। বছর তিনেক আগে স্বামী নুরুল ইসলামের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। সেখানে তার দুই সন্তান রয়েছে। এর পর মাজেদা বাবার বাড়ি থেকে সাভারের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। গত সাত মাস আগে আবুল হোসেনের সঙ্গে গোপনে বিয়ে হয় মাজেদার। বিয়ের পর থেকেই মাজেদা বেগমের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না আবুলের।
প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে লাগত। বেশ কয়েক দিন পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে এবং মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছিল। গত পরশু দিন সাভারের আশুলিয়া থেকে স্বামীর বাড়ি রাত ৯টার দিকে আসেন মাজেদা। বাড়ি আসার পর তার স্বামী পানিতে ডুবিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে হত্যা করে।
ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, মঙ্গলবার (২১ জুন) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবুল হোসেনকে থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিস বিভাগকে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিখোঁজ মাজেদা বেগমের সন্ধানে মঙ্গলবার (২১ জুন) দিনভর তৎপরতা চালালেও তার খোঁজ মেলেনি। তবে আজ বুধবারও উদ্ধার তৎপরতা চালানো হবে। তবে নিহতের মা রহিমা বেগম মেয়েকে না পেয়ে গত মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ করেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ