বাংলা৭১নিউজ,(ঝালকাঠি)প্রতিনিধি: স্ত্রীর যৌতুক মামলায় ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী মো. হাসান ইমাম পলাশকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঝালকাঠি সদর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএম ইমরানুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কিছুদিন আগে পলাশের স্ত্রী মোসা. শারমিন ফেরদৌস বাদী হয়ে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন। এ মামলায় আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গ্রেফতারি পরোয়ানার জারির সংবাদ পেয়ে পলাতক থাকার পর সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পলাশ।
আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর, জিকে মোস্তাফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মাহেব হোসেন প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ইসলামী শরিয়াহ্ অনুযায়ী ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে পলাশ-শারমিনের বিয়ে হয়। এ দম্পতির সালমান নামে পাঁচ বছরের এক ছেলে রয়েছে। ঝালকাঠি পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারীর পোস্টে চাকরি পেতেও শারমিনের বাবার কাছ থেকে অনেক টাকা নেয় পলাশ। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতের তিনি। এমনকি তিনি পরকীয়াতেও আসক্ত। এরই মধ্যে শারমিনকে বাবার বাড়ি থেকে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করে পলাশ। টাকা না দিলে পরকীয়া প্রেমিকার যেকোনো একজনকে মোটা অঙ্কের যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। শারমিন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় পলাশ।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ জানান, গত ১১ অক্টোবর পলাশের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে যৌতুক না নিয়ে তাকে গ্রহণের অনুরোধ জানালে তিনি শারমিনকে সন্তানসহ ফিরিয়ে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে
বাংলা৭১নিউজ/এসআর