রংপুরে মোটরসাইকেলে করে স্কুলে যাওয়ার সময় সড়কে গাছের ডাল ভেঙে কৃষ্ণারানী সরকার নামের এক শিক্ষিকা ও তার মেয়ে রাজশ্রী সরকার (১০) মারা গেছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত শিক্ষিকার স্বামী।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট রোডে চব্বিশহাজারী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কৃষ্ণারানী সরকার গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গঙ্গাচড়ার আলমবিদিতর তুলসিরহাটে। তিনি স্বামী-সন্তানসহ রংপুর মহানগরীর মেডিকেল পূর্বগেট পাকার মাথায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।
গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্বামী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকারের (৪০) মোটরসাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন কৃষ্ণারানী সরকার (৩৪)। সঙ্গে তাদের ছোট মেয়ে শুভশ্রী সরকার (৫) ও বড় মেয়ে রাজশ্রী সরকার (১০) ছিলেন। এ সময় বৃষ্টি ও বাতাস বইছিল।
পথিমধ্যে রংপুর-গঙ্গাচড়া সড়কের চব্বিশহাজারী এলাকায় পৌঁছালে আচমকা গাছের ডাল ভেঙে তাদের ওপর পড়লে তারা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নিকটস্থ রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক কৃষ্ণারানী সরকার ও তার মেয়ে রাজশ্রী সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান নিহতের স্বামী ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার ও ছোট মেয়ে শুভশ্রী সরকার। তাদেরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিহতের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। কোনো সরকারি চাকরিজীবী কর্মরত অবস্থায় এ ধরনের মৃত্যুর শিকার হলে তিনি সরকারি বিধি অনুযায়ী সকল সহায়তা পাবেন। উপজেলা প্রশাসন থেকে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে সেটি করা হবে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার একদল লোক বিভিন্নভাবে গাছের ডালগুলো কেটে রাখেন। ফলে সামান্য ঝড়-বৃষ্টি হলে বা বাতাস হলেই সেগুলো ভেঙে পড়ে। তখন তারা এসব ডাল কুড়িয়ে নিয়ে নিজের কাজে লাগান। একসময় ডালবিহীন গাছও উপরে নিয়ে যায় চক্রটি। গাছের ডালপালা কেটে রাখা চক্রের কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বর্তমানে ওই সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ