গভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) বসাতে গিয়ে ভূগর্ভস্থ প্রাকৃতিক গ্যাস বের হওয়া শুরু হয়। নলকূপ বসানোর কাজ শেষ হলেও আজ সোমবার পর্যন্ত গ্যাস বের হওয়া বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের ৪৭নম্বর মধ্য চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়নে চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি দ্বিতল ভবনের সঙ্গে চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত শুক্রবার সেই নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু হয়। রবিবার সকালে নলকূপ স্থাপনের কাজ শেষ করে চলে যায় শ্রমিকরা।
স্থানীয়রা জানায়, নতুন নলকূপের পানি কেমন উঠছে, তা দেখতে গেলে নলকূপের পাশ দিয়ে বুদবুদ শব্দ হচ্ছিল। এতে স্থানীয় কয়েকজনের সন্দেহ হয়। তারা দিয়াশলাই ঠুকে দিলে সেখানে আগুন জলে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমায়।
রবিবার রাতে ফেসবুকে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, নলকূপের পাশের দুটি গর্ত দিয়ে ধাউ ধাউ করে আগুন জ্বলছে। তা দেখতে ভিড় করেছে উৎসুক জনতা।
মধ্য চরগঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল ফাহাত বলেন, ‘শ্রমিকরা নলকূপ বসিয়ে চলে যাওয়ার পর বুদবুদ শব্দ হলে লোকজন সেখানে আগুন ধরালে জ্বলতে থাকে। এখনও নলকূপের চারপাশ দিয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। আগুন দিলেই জ্বলছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় ওখানে অনেকেই কৌতুহলবসত আগুন জ্বলা দেখতে গিয়েছে।’ তবে বিষয়টি পরিদর্শনে এখনও ঘটনাস্থলে যায়নি কেউ।
আজ সোমবার দুপুরে এ প্রতিবেদন পাঠানোর আগ পর্যন্ত অনবরত গ্যাস বের হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মধ্য চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘২৫০ ফুট পাইপ বসানোর পর পাইপের মাথায় গ্যাস নির্গমণ হতে দেখে শ্রমিকরা। পরে সাড়ে ৮০০ ফুট পাইপ বসিয়ে নলকূপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে। পানিও ঠিকঠাক উঠছে। কিন্তু বালু ও মাটি চাপা দিলেও নলকূপের চারপাশ দিয়ে এখনও গ্যাস বের হচ্ছে। বিষয়টি আমি আমার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গোলাম সগীর বলেন, ‘বিদ্যালয় নলকূপ বসানোর পর গ্যাস নির্গমণের বিষয়টি জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির ও উপসহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বাংলা৭১নিউজ/এআরকে