বাংলা৭১নিউজ, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে পূর্ববিরোধের জের ধরে পিতার ওপর প্রতিশোধ নিতে পুত্রের ওপর (৫ম শ্রেণীর ছাত্র) পাশবিকতা করা হয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে জিয়াসহ দুজনকে আসামি করে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর উপজেলার পাচন্দর ইউপির কচুয়া জিতপুরগ্রামে শিশু নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় ওই শিশুর পিতা আনোয়ার হোসেন প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিšত্ত নির্যাতনকারিরা আব্দুল মতিনের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তিনি বিষয়টি আমলে না এনে বিচারের কথা বলে এড়িয়ে যায়। অন্যদিকে শিশু নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসির মধ্যে চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে দেখা দেয় উত্তেজনা।
অভিযোগে প্রকাশ, পূর্ববিরোধের যের ধরে চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর কচুয়া জিতপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ৫ম শ্রেনী পড়ূয়া ছেলে পারভেজ মোশারফ (১২) একই গ্রামের প্রতিবেশি জিয়ার বাড়ীর সামনে খেলতে যায়। এ সময় মোশারফকে জিনিস খাবার কথা বলে বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষ জিয়া ও তার বোন শিশুটিকে বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। তাদের মারপিট সহ্য করতে না পেরে শিশুটি বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার দিলে প্রতিবেশিরা এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। আর শিশু নির্যাতনের এ খবর জানাজানি হলে পুরো গ্রামবাসির মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় উত্তেজিত গ্রামবাসি জিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে। এদিকে নির্যাতনের শিকার শিশুর পিতা আনোয়ার হোসেন জানান, সম্পত্তি নিয়ে জিয়ার সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। তার জেরেই আমার ৫ম শ্রেনী পড়ুয়া ছেলেকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করে জিয়া ও তার বোন। এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে জিয়া বলেন ওই শিশুকে বকাবকি করা হয়েছে মাত্র আমাকে ফাসাতে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস