বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: সৌদি এক নারীর বিদেশী পুরুষকে বিয়ে করার ছোট্ট একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করার পর এধরনের বিয়ে নিয়ে সোরগোল চলছে।
এই বিতর্কের মধ্যে উঠে এসেছে সৌদি আরবেরাহ রাজনীতি, সমাজ এবং নারী অধিকারের প্রসঙ্গও।
যিনি এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। তাতে দেখা যায় একদল পুরুষ গোল হয়ে নাচছে। সৌদি এক নারীর সাথে তার প্রেমিক সিরিয়ান এক পুরুষের বিয়ে হচ্ছিলো। বিয়েটি হয় সৌদি আরবের মদিনা শহরে। এই ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ভিডিওটি পোস্ট করার পর ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ একটি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন। হ্যাশট্যাগটি ছিলো এরকম: ‘হার্ব গোত্রের একজন নারী মদিনায় সিরিয়ান এক পুরুষকে বিয়ে করছে।’
এই বিতর্কের মূল ইস্যুই ছিলো কনেটি কোন গোত্রের মেয়ে এবং পাত্রের জাতীয়তা এই দুটো বিষয়। সোশাল মিডিয়ায় উঠা এই বিতর্কে কেউ কেউ দুটো দেশের ছেলেমেয়ের এই বিয়ের ঘটনায় ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
একজন লিখেছেন, মদিনায় আজ রাতে যেটা হলো সেটা কোরানের একটি বানীরই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। একজন বিদেশিকে বিয়ে করার পরিণতি কি হতে পারে সেটা নিয়েও অনেকে সাবধান করে দিয়েছেন।
একজন লিখেছেন, “তিনি কাকে বিয়ে করবেন এটা তার অধিকার। কিন্তু পরে তিনি চিৎকার করে বলতে পারবেন না যে আমার স্বামী ও সন্তানরা বিদেশি। তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। এধরনের একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন।”
একজন লিখেছেন, “আমি আশা করবো তিনিই হবেন শেষ সৌদি নারী যিনি কোনো বিদেশিকে বিয়ে করেছেন।”
অনেকে এই দম্পতিকে অভিনন্দন ও সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এর একটি উপায়। এর মধ্য দিয়ে সৌদি নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টিও চলে আসবে।
একজন লিখেছেন, “ সবচে বড়ো কথা তিনি একজন মুসলিম। বর্ণবাদকে না বলুন। নারী ও পুরুষ সবার জন্যেই আইন সমান হওয়া উচিত।”
আরেকজন লিখেছেন, “একজন সৌদি পুরুষ যখন বিদেশী একজন নারীকে বিয়ে করেন তখন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এর উল্টোটা নিষিদ্ধ।”
কেউ কেউ বলেছেন, কোরানেও নিজ জাতি ও গোত্রের বাইরে সম্পর্কের উদাহরণ রয়েছে।
একজন নবী মোহাম্মদের আমলের এক ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন যে এই প্রথা গৃহীত।
“বিলাল বিন-রাবা আল-হাবাশি (নবী মোহাম্মদের একজন সাহাবী। তিনি এমন একটি দেশ থেকে এসেছিলেন যা আজ ইথিওপিয়া নামে পরিচিত। তিনি মক্কার প্রভাবশালী কুরাইশ বংশের এক নারী হালাকে বিয়ে করেছিলেন।
ইসলামে এসব বর্ণবাদের কোনো সুযোগ ছিলো না। কিন্তু এখন সেগুলোকে নিয়ে আসা হচ্ছে।”
এধরনের ব্যক্তিগত একটি বিষয়ে হ্যাশট্যাগ তৈরি করায় অনেক সৌদি নাগরিক তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র:বিবিসি