বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : দুই দফায় অনুমতি চাওয়ার পরও রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ায় সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
সোমবার ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এবং সারা দেশের মহানগর ও জেলা সদরে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
আজ দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
গত ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চাইলেও তা পায়নি বিএনপি। পরে ৮ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দলটি। কিন্তু সড়কে সমাবেশ করা যাবে না, এই কারণে সেখানেও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টনের পরিবর্তে গত মঙ্গলবার ২৭ শর্তে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। সেই অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে ১৩ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চেয়ে দ্বিতীয় দফায় আবেদন করে বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল একাধিকার ডিএমপিতে গেলেও কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাক্ষাৎ করেননি। যেদিন সমাবশে ছিল ওই দিনই বেলা ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়। এটা বিরোধী দলের সঙ্গে প্রতারণা করা। এভাবে গোটা জাতিকে বোকা বানাতে চায় সরকার।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজ গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য পুলিশ অনমুতিপত্র লাগবে।’
সমাবেশ করা বিএনপির সাংবিধানিক অধিকার জানিয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘এখন কোনো জরুরি অবস্থা চলছে না যে কোনো সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। জনসভার অনুমতি না দিয়ে আমাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আমরা বারবার আলোচনার কথা বলছি। কিন্তু সরকার কোনো কর্ণপাত করেনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, সহদপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/এন