বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। আগামী সোমবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মহানগরের থানায় থানায় এবং উপজেলা সদরে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী থানা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা তাদের সুবিধা মতো সময়ে এ কর্মসূচি পালন করবে। রিজভী আরো বলেন, খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের আর মাত্র দু’দিন বাকী। নির্বাচনকে ঘিরে ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলেও সরকারের অনাচারে এক ভয়ানক পরিস্থিতি বিরাজ করছে কেসিসি নির্বাচনী এলাকায়।
রিজভী বলেন, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেপ্তার, বাড়ীতে বাড়ীতে সাঁড়াশী অভিযান সবমিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তান্ডবের পাশাপাশি এখন আরও একটি মাত্রা যোগ হয়েছে, সেটি হলো সাদা পোশাকধারী পুলিশ প্রিজাইডিং অফিসারদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা তাদের বাসভবনে গিয়েও খোঁজ খবর নিচ্ছে। এ নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারদের মনে এক ধরণের সংশয় ও ভীতি বিরাজ করছে। শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর একজন আত্মীয় ও সরকার দলীয় এমপি দলবলসহ সপ্তাহের বেশী সময় ধরে খুলনায় অবস্থান নিয়ে বিএনপির প্রভাবশালী নেতাদেরও হুমকি ধামকি দিচ্ছে। প্রতিদিনই নাকি তিনি প্রশাসন, পুলিশসহ নানা শ্রেনীর মানুষদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন।
এদিকে কেসিসি নির্বাচনী এলকায় সাদা পোশাকধারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের পাশাপাশি দলীয় কর্মকান্ডে যারা বেশী সক্রিয়, যাদেরকে সম্ভাব্য নির্বাচনী এজেন্ট করা হতে পারে তাদেরকেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে ও গ্রেপ্তার করছে, যা সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার না করা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া পনেরটি নির্দেশনার সুষ্পষ্ট লংঘন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মনে হচ্ছে-খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে পুলিশ, আওয়ামী সশস্ত্র ক্যাডার ও নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে একই টিমে খেলছে। খুলনার ৩১টি ওয়ার্ডের প্রায় সব কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বলে ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। আমরা বারবার কেএমপি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন উদেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে প্রত্যাহার করেনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস