বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের নর্থ সাউথ রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপকসহ তিন আসামিকে একাধিক ধারায় ৫ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে পলাতক আসামি রুস্তম আলীকে পেনাল কোডের ৪৬৭ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-; পেনাল কোডের ৪৬৮ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমান ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-; পেনাল কোডের ৪০৯/১০৯ ধারায় ৫ বছর কারাদ- ও ৩৫ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়েছে।
অপর পলাতক আসামি মো. আনিসুর রহমানেরও একই সাজা ও অর্থদ- দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের নর্থ সাউথ রোডের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান খন্দকারকে পেনাল কোডের ৪০৯/১০৯ ধারায় ৫ বছর কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জারিমানা করা হয়। অপরদিকে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় রায়ে তিন ব্যাংক কর্মকর্তা রণজিত কুমার বণিক, মো. মফিদুল ইসলাম ও মো. গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, এ মামলাটি দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আমলের মামলা। মামলার রায়ে আদালত দুই আসামিকে পৃথক তিনটি ধারায় ৫ বছর করে কারাদ- দিয়েছেন। ওই দুই আসামি মোট ১৫ বছর কারাদ- ভোগ করবেন, নাকি ৫ বছর কারাদ- ভোগ করবেন তা পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বোঝা যাবে। সেখানে এ বিষয়টি উল্লেখ থাকবে। এ ছাড়া এ মামলায় যে তিনজন খালাস পেয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আপীল করা হবে।
মামলার নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ব্যাংকের ৯৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
১৯৯৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। সোনালী ব্যাংকের নর্থ সাউথ রোড শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক আবুল কালাম এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৩ সালের শেষের দিকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করেন আদালত। মামলায় মোট ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস