দেশের সোনালি আঁশ পাট ও বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রীর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে ইউরোপের সমৃদ্ধশালী দেশ জার্মানিতে। জার্মানির হেসেন প্রদেশের গিসেনে প্রথমবারের মতো গড়ে ওঠা দেশের পাট ও বাঁশ থেকে তৈরি পণ্যের বেশ কদর।
জার্মানির বাণিজ্যিক রাজধানী ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে মাত্র ৫২ কিলোমিটার দূরে গিসেন শহরে দেখা গেল দেশের একসময়ের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত সোনালি আঁশ পাটের তৈরি টয়লেট পেপার, চা, ব্যাগ, শতরঞ্জি, সংসারের নানা আসবাব থেকে শুরু করে বাঁশের তৈরি মোজাসহ আরও অনেক কিছু। কী নেই বায়োবিডি নামে এই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানটিতে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে জার্মানিতে।
প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা জার্মানির মতো দেশে বাংলাদেশি এই শিল্পপণ্যের কদর আছে জার্মানদের কাছেও।
একজন বলছেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আসা বাঁশ দিয়ে তৈরি নানা জিনিস, নারিকেলের ছোবড়ার তৈরি আসবাব, পাটের ব্যাগ ও টুপি এমনকি বাঁশের তৈরি টয়লেট পেপার আমার অনেক পছন্দ। আমি প্রায়ই আসি, ভালো লাগে, আমার পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা সবাই আসেন। এমন জিনিস আর কোথাও তো নেই।’
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কথা চিন্তা করে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি টেকসই এসব পণ্যের চাহিদা থাকলেও রফতানির ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগতমান বজায় রাখার আহ্বান এই উদ্যোক্তার।
দেশের বাঁশ ও পাটজাতপণ্যের অপার সম্ভাবনাময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প হারিয়ে যাওয়ার আগেই এই শিল্পের বিকাশে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এবি