বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসে সেবার মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করুণ। চিনি, তেল, সোলা, পিঁয়াজ রসুন, খেজুরসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মজুত রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এ সকল পণ্যের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই। যদি কৃত্তিম উপায়ে কোন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বা মজুত রেখে কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা কঠোর ভাবে বাজার মনিটরিং করবে। আশা করি কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে না। মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি পণ্যের মজুদ বিগত দিনের চেয়ে কয়েকগুন বেশি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এ সকল পণ্যের কোন সংকট নেই বা মূল্য বাড়েনি। বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে সংবাদ পরিবেশনের জন্য গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানিয়ে মন্ত্রীবলেন, দেশের প্রচার মাধ্যমকে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি রোধ কল্পে এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করে এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমানে চিনি, ছোলা, মশুরডাল, রসুন, গরুর মাংস, লবন ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। তেলের মূল্যও স্টবাভাবিক। আন্তর্জাতিক বাজারেও গত বছরের তুলনায় এ সকল পণ্যের মূল্য কম রয়েছে। সংগত কারনে এ মহুর্তে এগুলোর মূল্য বৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই। চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মজুত থাকার কারনে পণ্যে কোন সংকট হবে না। পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে। সরবরাহ চেইনে যাতে কোন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সকল আমদানি পয়েন্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাসের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে পণ্য আমদানি ক্ষেত্রে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। দেশের মানুষ স্বাভাবিক পরিবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।
সভায় বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বযু, টেরিফ কমিশেিনর চেয়ারম্যান(সচিব) জহির উদ্দিন আহমেদ, বচাণিজ্যমন্ত্রনালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, এফবিসিসিআই, সিটিগ্রুপ, মেঘনা গ্রুফ, কৃষিমন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, এনএসআই, ডিসিসিআই, বিভিণœ ব্যবসায়ী সংগঠনের ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার বসুন্ধরায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ ফার্নিচার রপ্তানি কারক সমিতি, ফারনিচার শিল্প মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সেক্টর আয়োজিত চারদিনব্যাপী পঞ্চমবারের মতো “বাংলাদেশ ফার্নিচার এবং ইন্টেরিয়র ডেকর এক্সপো-১৮” এর উদ্বোধন করেন। মেলায় ১৯টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করেছে। এতে ১০টি ফার্নিচার এবং হোম ফার্নিসিং খাতে ০৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলা আগামী ১৬ তারিখ পর্যন্ত দেশী-বিদেশী ক্রেতা, দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস