সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়নি, ইভিএম ব্যবহারে প্রস্তুতি নেই-সিইসি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে
ফাইল ছবি

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলিনি। তবে প্রতি জাতীয় নির্বাচনেই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে। এটা একটা বাস্তবতা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে আমরা ইভিএম ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত নই। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে বুধবার দুপুরে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে কোন বাহিনী থাকবে? সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কি আপনারা নিয়ে ফেলেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলিনি। প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে। এটা একটা বাস্তবতা। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেইনি। অনেক সময় আছে, এতো তাড়াতাড়ি আপনারা এ সিদ্ধান্ত চান কেন? এখনো এক বছরের বেশি সময় আছে সেই অবস্থানে পৌঁছতে। এতো আগে তো সেই সিদ্ধান্ত দেয়া যাবে না।’
সংলাপে অধিকাংশ দলই সেনার কথা বলেছে। সংলাপের সুপারিশ এবং সেনা মোতায়েন নিয়ে আপনাদের মনোভাব কী এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই মনোভাবটা কমিশন মিটিংয়ের আগে আমি বলতে পারব না। আমাদের মনোভাব তো আমার মনোভাব হবে না। যেহেতু এটা নিয়ে কমিশনের সাথে এখনো আলোচনা করিনি। তাই এখনই বলা যাবে না। আমাদের কী মনোভাব।’
জনগণ তো চায় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন হোক। কমিশন কি জনগণের দিকটা বিবেচনা করবে নাকি সাংগঠনিকভাবে নির্বাচন কমিশন যেটা সঠিক মনে করে সেই সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবে- এর জবাবে নূরুল হুদা বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করব। কারণ জনগণ কিভাবে বলেন সেটা তো পরিমাপ করার কিছু সেই আমাদের কাছে। পরিমাপ করে তো বলতে পারি না যে কত সংখ্যক জনগণ চায় আর কত সংখ্যক জনগণ চায় না। সেটা একটা দিক আছে জনগণের কথা আমরা শুনি, আমরা বিবেচনা করি। তবে যে সিদ্ধান্ত আমরা নেব, সেটা কিন্তু পুরোপুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত।
একজন কমিশনার সেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন- এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পত্রিকা পড়ে দেখেছি উনি বলেছেন, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত নয়। সেটা আমি লক্ষ করেছি। উনি মনে করেন যে, সেনা মোতায়েন করার প্রয়োজন হবে। এটা তার একটা ব্যক্তিগত মতামত। উনি তো খুব বেশি ভুল বলেছেন মনে হয় না। এটা আমরা সময়মতো বলব। সময়মতো অবশ্যই আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে জানাব যে, আমরা কিভাবে করব। মানে সেনা মোতায়েন কিভাবে করব। সেনা মোতায়েন করার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত তা জানাব, আমাদের কমিশন মিটিংয়ের পর। তখন বিস্তারিতভাবে সেনা মোতায়েনের অবস্থানটা কি হবে, না হবে।
ইভিএম প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আমি তো আগেও বলেছি যে, আমরা কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচনে জন্য ইভিএম নিয়ে প্রস্তুত না। এটা আমরা স্থানীয় পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে চালাব। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করার জন্য আমরা একেবারেই প্রস্তুত না।
সংলাপের পর আপনারা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে রংপুরের মধ্য দিয়ে জাতিকে কি কোনো বার্তা দেবেন- এ ব্যাপারে তিনি বলেন, অবশ্য আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সিটি করপোরেশন নির্বাচন তো বটেই, অন্যান্য নির্বাচনও আমরা একেবারেই নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব। জাতীয় নির্বাচনে যাতে মানুষের মধ্যে, ভোটারদের মধ্যে আমাদের প্রতি আস্থার অবস্থান সৃষ্টি হয়, আমরা সেজন্য অবশ্যই কাজ করে যাব ও যাচ্ছি।
সেই বার্তাটা কি রংপুর দিয়ে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেই বার্তা তো শুরু হয়ে গেছে। কুমিল্লা থেকে এসেছে। অন্যান্য নির্বাচন যেগুলো করেছি জাতীয় পর্যায়ে দুটো নির্বাচন করলাম এবং ভবিষ্যতে যে নির্বাচনগুলো করব, রংপুর সিটি করপোরেশনসহ সবগুলো নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সেই বার্তাগুলো পৌঁছে দিতে চাই।
রংপুরে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি মেনে চলেন সেই ব্যাপারে কমিশন কী বার্তা দেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু দলীয়ভাবে নির্বাচন হবে, সেহেতু দলের এবং দলীয় প্রার্থীদের আচরণ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আচরণবিধি তারা মেনে চলবে এবং চলেছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলতে পারি যে, প্রার্থীগণ নির্বাচনী আচরণবিধি বিধান মেনে চলেছে এবং ভবিষ্যতে তারা মেনে চলবেন এটা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।
রংপুর নির্বাচন নিয়ে যাতে কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, সেজন্য স্থানীয় এমপি, নেতা ও প্রশাসনকে আপনারা কী পরামর্শ দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ১৯ তারিখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেন্দ্রীয় পর্যায়ে যারা আছেন তাদেরকে নিয়ে একটা মিটিং করব। আমরা রংপুরে গিয়ে প্রার্থীদের সাথে কথা বলব। যারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন তাদের সাথে সভা করব। এর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের যে বার্তা তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করব।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com