সংবাদ শিরোনাম
বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচি।
ভয়াল ওই হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নারীনেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আহত হন কয়েকশ মানুষ। সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শেখ হাসিনার।
আজ সেই হামলার এক যুগ পূর্ণ হলেও এখনো অনেকে তার দুঃসহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন। হামলার ধরন ও ব্যাপকতা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ওইদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা নিয়েই গ্রেনেড হামলা করে ঘাতকরা।
নারকীয় ওই গ্রেনেড হামলায় নিহতরা হলেন- প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমান, মোসতাক আহম্মদ সেন্টু, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), হাসিনা মমতাজ রীনা, রিজিয়া বেগম, রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, লিটন মুন্সী, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন সর্দার, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।
ওইদিন শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। প্রায় আড়াই বছর চিকিৎসার পর ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর মারা যান তিনি।
হামলায় গুরুতর আহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন প্রেসিডিয়াম সদস্য) জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, ঢাকার সাবেক মেয়র (প্রয়াত) মো. হানিফ, আমির হোসেন আমু, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফর উল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা আখতার, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মল্লিকসহ ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস
