রাজধানীর রমনা থানার সেগুনবাগিচা গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসায় এসি থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় চার নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ভয় পেয়ে রাহিমা বেগম নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থরা হলেন- রাফিজা আক্তার, সানজিদা ও জয়নব।
নিহতের মেয়ে রাফিজা বেগম বলেন, আমার মায়ের হার্টের সমস্যা ছিল। আমার মাকে বাইপাস সার্জারি করানো হয়েছিল। এ ঘটনায় ভয় পেয়ে মা স্ট্রোক করে মারা যান। এছাড়া আমার মেয়ে ও কাজের বুয়াসহ সবাইকে শেখ হাসিনা বার্নে এ ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থ সানজিদা জানান, ভোরে যখন তারা ঘুমিয়ে ছিলেন তখন হঠাৎ রুমে ধোঁয়া দেখতে পান। তবে রুম থেকে বের হতে পারছিলেন না। তখন তাদের চিৎকারে আশপাশের বাসার লোকজন ওই বাসার জানালা ভেঙে তাদের বাইরে বের করেন।
তাদের প্রতিবেশী মো. শামীম জানান, বাসাটিতে থাকেন আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিবার। রাতে তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ওই বাসায় যায়। পরে জানালা ভেঙে তাদের বাইরে বের করে আনেন। এসি থেকে আগুন লাগায় ধোঁয়া বের হয়েছে বলে তাদের ধারণা। তবে আগুন ছড়িয়ে পরেনি।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিকসার্জারি ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেগুনবাগিচার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারে এসি বিস্ফোরণ হয়ে ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে তিনজন এসেছে তাদের তিনজনকেই চারতলায় ভর্তি দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, এসি বিস্ফোরণে ধোঁয়ায় আহত তিনজনকে এসডিইউ বেড ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা শঙ্কামুক্ত নন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তাদের শরীর দগ্ধ হয়নি। ধোঁয়া থেকে সবার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। তাদের ভর্তি রাখা হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ