বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধেও ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণ করেছে সরকার। টেকসই উন্নয়নের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তোলা দরকার।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এই মন্ত্রণালয়টি প্রধানমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন।
দুর্নীতি দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি ও প্রশাসনের সব পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহি নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির যেমন আমরা ঘোষণা দিয়েছি, তেমনি দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমি জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছি।’
‘এই কারণে আমরা কিন্তু এখন যেমন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার জন্য বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে সবকিছু ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করে দিয়েছি। আমি তো মনে করি যে, এখন আর ওই দুর্নীতির প্রয়োজন না। যা প্রয়োজন সেটা তো আমরা মেটাচ্ছি। তাহলে দুর্নীতি কেন হবে? কাজেই এখানে মানুষের মন-মানসিকতাটা পরিবর্তন করতে হবে। এবং সুনির্দিষ্ট একটা নির্দেশনা আপনাদের যেতে হবে একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত যে, কেউ যদি এ ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত হয় সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে,’ বলেন শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, সব রকম সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া ও তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই এই সরকারের লক্ষ্য।
বিগত সময়ে সরকার ও রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৩-তে ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সন্ত্রাস চলতে থাকে। এরপর আবার ২০১৫-তে সেই অগ্নিসন্ত্রাস এবং… তা ছাড়া ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বারবার দুর্নীতিতে, মানে সারা বিশ্বে দুর্নীতিবাজ একটা দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পায়। এ ধরনের… আর তা ছাড়া জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, বাংলা ভাই, মাদক নানা ধরনের ঘটনায় মানুষের জীবনযাপন অতিষ্ঠ হয়। আন্তর্জাতিকভাবেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে কারণে জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করেছে। এবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করেছি একটানা তৃতীয়বার। কাজেই এ ক্ষেত্রে আমি এটুকু বলব যে, তৃতীয়বারে একটানা যেমন সরকার এসেছে, এটা একটা যেমন সুযোগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করার, আমি সেটাই মনে করি। প্রধানমন্ত্রী হওয়াটা বড় কথা না, দেশের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারব (সেটাই বড় কথা)।’
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে দ্রুত সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান। দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এমসি