সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চিপসের প্যাকেট ১, ডাবের খোসা ও দইয়ের পাত্র ২ টাকায় কিনবে ডিএনসিসি সিরাজগঞ্জে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপনের সময় মাটিচাপা পড়ল শ্রমিক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর চুয়াডাঙ্গা-যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি ১০ মে ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ইলিশের উৎপাদন বেড়ে ৫.৭১ লাখ টন: মন্ত্রী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সুন্দরবনে আগুন কেন, গভীরভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর লোডশেডিং আগের তুলনায় কমেছে, দাবি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর কাছে শপথ নিলেন লালমনিরহাট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বোবা ছেলেকে কুমিরের মুখে ফেললেন নারী ইউক্রেনের কাছে পারমাণবিক মহড়ার নির্দেশ পুতিনের চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডব : সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল ব্যাহত দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে একীভূত হবে না ন্যাশনাল ব্যাংক, নিজেরাই সবল হতে চায় প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস রাষ্ট্রপতির সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাক্ষাৎ ধামরাই ঝড়ে টিনের চালা ভেঙে পড়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী নিহত হিলি দিয়ে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি মাঠে কাজ করছিলেন স্বামী, খাবার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে গৃহবধূ নিহত

সুরের মুর্ছনায় শেষ হলো ফোক ফেস্ট

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৮
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: লোকসংগীতের সুর, তাল, লয় ও ছন্দের বর্ণিল ছোঁয়ায় বাংলা ভাষাভাষী সংগীতপ্রিয় সমস্ত মানুষকে এক সুতোয় বাঁধতে পারার এক ঐশ্বরিক ক্ষমতা কেবল লোকসংগীতেরই রয়েছে। কেননা এই লোকসংগীতের মধ্যদিয়েই খুঁজে পাওয়া যায় আত্মার শান্তি ও ঐতিহ্যের সমৃদ্ধি।

প্রতিবারের মতো এবারো লোকসংগীতের সুরের মোহনায় সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে দাঁড় করিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ লোকসংগীতের উৎসব “ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট, আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব- ২০১৮”। আজ ১৭ নভেম্বর, উৎসবের শেষদিন। হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে গত দুইদিনের মতো আজও স্টেডিয়ামে ছিলো উপচে পড়া ভীড়।

লোকসংগীতের চর্চা এবং প্রসারের জন্য গত তিন বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্ট, আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব’। এবারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশ থেকে ১৭৪ জন লোকসংগীত শিল্পী অনুষ্ঠানের তিনদিনে তাঁদের পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শেকড় সন্ধানী গানগুলো দর্শকের সামনে তুলে ধরার নিমিত্তে জড়ো হয়েছিলেন একমঞ্চে।

শেষ দিনের প্রথম পরিবেশনা শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এ সময় মঞ্চে ওঠে গানের দল নকশীকাঁথা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী লোকগান গেয়েছেন তারা। সাজেদ ফাতেমি গেয়ে শোনান ‘কাজল ভ্রমরারে’, ময়মনসিংহ গীতিকার গানসহ বিভিন্ন লোকগান।

দ্বিতীয় পরিবেশনা শুরু হয় সন্ধ্যা ৭টায়। মঞ্চে আসেন বাউল কবির শাহ্। বাংলা লোকজ সংগীতের অনন্য শিল্পী তিনি। বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমের কাছে থেকে তার গানের হাতেখড়ি। বিচ্ছেদ ভাবের গান, ভাটিয়ালী, মুর্শীদি গান পরিবেশন করেন তিনি।বাউল কবির শাহ্ গেয়ে শোনান ‘কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে’। বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমের করা প্রকৃত সুর শুনেও মুগ্ধ শ্রোতারা।

রাত ৯টায় স্টেজে উঠেই অর্ণব গান ধরলেন, ‘সোনা দিয়া বান্ধায়াছি ঘর’। অর্ণবের মেলোডিয়াস কণ্ঠে দর্শক শ্রোতা উপভোগ করেন গানটি। এরপরেই অর্ণব গাইলেন লালনের গান ‘কে বোঝে মওলার আলেকবাজি’। মনপুরা সিনেমায় অর্ণবের কণ্ঠে সোনার ময়না পাখি গানটি মুগ্ধ করেছিল সারা দেশের শ্রোতাদের। ফোক ফেস্টে সেই গান গেয়ে সবার হৃদয় ছঁয়ে দিলেন অর্ণব।

অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের পরিবেশনা চলছে একটির পরে একটি। এবার লালনের ‘মন হইলো নৈরাশি’ গাইলেন দলের আরেক সদস্য লাবিব কামাল গৌরব। এরপর ‘ভাব তরঙ্গে এসো আমার সঙ্গে’ গাইলেন দলের অন্য আরেক শিল্পী।

আবারো অর্ণব গাইতে শুরু করলেন। তার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান, মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পায় না। ফোক ফেস্টে তার কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে অবাক হয়েছেন কেউ কেউ। এর পরই সবাইকে চমকে দিয়ে আব্দুল আলীমের গান ধরলেন, আমার হাড় কালা করলাম রে, দেহ খানার লাইগারে,। স্টেডিয়াম ভরা দর্শক কণ্ঠ মিলায় অর্ণবের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় অর্ণব অ্যান্ড ফ্রেন্ডসের এক ঘণ্টার পরিবেশনা।

শনিবার পাকিস্তানি শিল্পী শাফকাত আমানাত আলীর সুরে হারিয়ে শেষ হলো এবারের ফোক ফেস্ট। রাত সাড়ে ১০টায় স্টেজে উঠেন তিনি। সুরের জাদু ছড়িয়ে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন তিনি। গেয়েছেন অনেকগুলো গান। বাংলা ভাষায় বললেন, কেমন আছ ঢাকা? ভালো আছ?
গাইলেন বাংলা গান, কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিল না, বিনি সুতোর মালাখানি গাঁথা হলো না। এক পর্যায়ে স্টেজ থেকে নেমে দর্শক সারিতে মিলে যান। নিজে গায়তে থাকেন আর দর্শকদেরও গাওয়ান।

তার পারফর্মে মুগ্ধ দর্শক-শ্রোতা। অনেক দর্শকের সঙ্গে হাত মেলান কোলাকুলি করেন। টানা একঘণ্টা গেয়ে সুরে ভাসান সবাইকে। আর এরই মাধ্যমে শেষ হলো লোকসংগীতের এই মহা উৎসবের।

লোকসংগীত দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অতুলনীয় সম্পদ। এই মহামূল্যবান সম্পদকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং এর সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করাই সান ফাউন্ডেশন এর লক্ষ্য। বাংলাদেশের লোকসংগীত শিল্পীদের রয়্যালটি এবং তাদের স্বত্ত নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সান ফাউন্ডেশন কাজ করছে।

সময়ের সঙ্গে আমাদের লোকসংগীতের বিশাল রত্নভান্ডারকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করা এবং লোকসংগীতের দৃঢ় অবস্থান তৈরির এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান আয়োজকরা।

বাংলা৭১নিউজ/এবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com