বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: সুরা কাহাফ। কুরআনুল কারিমের ১৮ নং সুরা। আয়াত সংখ্যা ১১০। মক্কায় অবতীর্ণ সুরাটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। সুরাটি সম্পর্কে হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে একটি হাদিস বর্ণিত আছে, ‘সম্পূর্ণ সুরাটি এক সঙ্গে নাজিল হয়েছে এবং এর সঙ্গে ৭০ হাজার ফেরেশতা দুনিয়াতে আগমন করেছেন। আর এ কারণেই সুরাটির তিলাওয়াতের ফজিলত অনেক। তাছাড়া জুমাআর দিনে সুরাটির তিলাওয়াতের ফজিলতও অনেক। যা তুলে ধরা হলো-
>> হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমআ পর্যন্ত নূর হবে।
>> হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সর্বপ্রকার ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও মুক্ত থাকবে।
>> অন্য রেওয়ায়েতে আছে এক জুমআ থেকে অপর জুমআ পর্যন্ত তার সব গোনাহ মাফ হয়ে যাবে। তবে উল্লিখিত গোনাহ মাফ হওয়ার দ্বারা সগিরা গুনাহ উদ্দেশ্য। কারণ ওলামায়ে কেরামের ঐকমত্য হচ্ছে যে, কবিরা গোনাহ তাওবা করা ছাড়া ক্ষমা হয় না।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামআর নামাজ আদায় করার আগে নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ করে সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত জুমআর দিনে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের ফজিলত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলা৭১নিউজ/এম