সুন্দরবনে জেলে অপহরণের ঘটনায় জড়িত তিন বনদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশিয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জয়মনির ঘোল গ্রামস্থ মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামের মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে মো. মাসুম ফরাজী (৩৫), একই গ্রামের মো. আব্বুস কবিরাজের ছেলে মো. হাছান কবিরাজ (৩০) এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ারী গ্রামের মৃত আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদার(৫০)। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক সংবাদ সম্মেলন করে এতথ্য জানান।
এসময় অন্যদের মধ্যে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. রাসেরুলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরিফুল হক বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবনে মাছ ধরার সময় কিছু জেলেদের অপহরণ করে বনদস্যুরা। কৌশলে জেলেদের উদ্ধার করলেও, বনদস্যুরা অধরা ছিল। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মিরাগামারী খালের উত্তর পাড় থেকে অস্ত্রসহ তিন বনদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশি প্রযুক্তিতে তৈরী একনালা বন্দুক, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, কাঠের বাট, ২টি রামদা, ২ টি লোহার রড জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া বনদস্যুদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগেরর চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের বেড়ির খাল ও হরমল খাল থেকে ১১ জন জেলেকে অপহরণ করে দস্যুরা। পরে জেলেপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে তারা। ২১ ডিসেম্বর অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ