বাংলা৭১নিউজ, জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে সুন্দরবনের মধ্যে হারবাড়িয়ায় এলাকায় ৭৫০ মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই একটি লাইটার জাহাজ এমভি বিলাশ ডুবে যাওয়ার ঘটনায় সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব-বিভাগের বিভাগিয় বন কর্মকর্ত মাহমুদুল হাসান ।
কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. লালন হাওলাদার দুপুরে জানান, গত ১৩ এপ্রিল লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি অবজারভেটর নামের একটি জাহাজ সাড়ে ২৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়ার ৬ নাম্বার এ্যাংকরে নোঙ্গর করে। ১৪ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত এক হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতার লাইটার ভ্যাসেল এমভি বিলাস ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা ওই জাহাজ থেকে খালাস করে ঢাকার মীরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। হারবাড়িয়ার ৫ নাম্বার এ্যাংকরে লাইটার ভ্যাসেলটি পৌছে ডুবো চরে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার মোহম্মদ ওয়ালিউল্লাহ বলেন, কয়লাবাহী লাইটার ভ্যাসেল এমভি বিলাস আমাদের সাহায্য চাইলে আমাদের উদ্ধার যান এমভি শিপসা সেখানে পৌছে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়লার জাহাজডুবির ঘটনায় সুন্দরবনের কি পরিমান ক্ষতি হবে তা নির্নয় করে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের এসিএফ কে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ফার্নেস তেল নিয়ে ওটি সাউদার্ন স্টার-সাত নামে একটি ওয়েল ট্যাংকর ডুবে যায়। সেই ঘটনার পর সুন্দরবনের অভ্যন্তরের এ নৌপথটি বন্ধে জোর দাবি ওঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক দলও সুপারিশ করে বিশ্বের বিপন্ন প্রায় প্রজাতির ডলফিন ‘ইরাবতী’র অভয়ারণ্য শ্যালা নদীসহ সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বাণিজ্যিক নৌ চলাচল বন্ধের।
এ ঘটনার ১০ মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর শ্যালা ও পশুর নদীর মোহনায় এমভি জিয়া রাজ নামে কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী কার্গো জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সর্বশেষ গত ১৯ মার্চ ২০১৬ বিকেলে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর ‘হরিণটানা’ বন টহল ফাঁড়ির কাছে এক হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ‘এমভি সী হর্স-১’ নামের উপকূলীয় জাহাজটি (কোস্টার) ডুবে যায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস