বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর জেলখানায় হত্যা: শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল কর্ণফুলীতে গোসল করতে নেমে দুই পর্যটক নিখোঁজ টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবার সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ দেশের স্বাধীনতা, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করবো না: জামায়াত আমির ডিএমপিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৫২৯ মামলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে কয়েকশ’ ঘর ভস্মীভূত, নিহত ২ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, ক্ষেপল ডেনমার্ক! নারায়ণগঞ্জে নসিমনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত দুদকের মামলায় গ্রেফতার সাবেক সচিব ইসমাইল গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ইতিহাস গড়ল বাংলার মেয়েরা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীল ধারা অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরেই জাতীয় নির্বাচন সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ বড়দিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সোয়াট-স্পেশালাইজড ইউনিট ঢাকায় বিয়ের দাওয়াতে এসে নোয়াখালীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

সুনামগঞ্জে ১ হাজার কোটি টাকার ধান উৎপাদন

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

৩ হাজার ৭৪৭.১৮ বর্গকিলোমিটারের জেলা সুনামগঞ্জ। তার মধ্যে হাওর আছে সর্বমোট ১৩৭টি। তবে চলতি মৌসুমে প্রায় ছোট-বড় ৬০টি হাওরের আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। বিশেষ করে এবার সুনামগঞ্জে তিন দফা বন্যায় আউশ ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ কারণে হাওরের কৃষকেরা ছিলেন হতাশাগ্রস্ত। এমন অবস্থায় আমনের আবাদ নির্বিঘ্ন ও ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

প্রান্তিক কৃষক আবু সায়হাম প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ করে ৫০ কেয়ার জমিতে আমন চাষ করেছিলেন। যেখান থেকে প্রায় ৮০০ মণ ধান পেয়েছেন। বর্তমানে বছরে খাওয়ার জন্য রেখে প্রায় ৮ লাখ টাকার ধান মাঠেই বিক্রি করেছেন।

কৃষক আবু সায়হাম বলেন, ‘হাওরাঞ্চলে এ বছর ধানের ফলন অন্য বছরের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রতি মণ ধান ১১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি।’

শুধু আবু সায়হাম নন, এরই মধ্যে সুনামগঞ্জে প্রায় ২ লাখ কৃষক আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ হারভেস্টর মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন, কেউ সেই ধান গোলায় তুলছেন, কেউবা মাঠেই ধান শুকিয়ে বস্তাবন্দি করে প্রতি মণ ১১০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

এ বছর জেলায় ২৫ প্রজাতির ধান চাষ করেছেন প্রান্তিক কৃষকেরা। যার মধ্যে বিনা-১৭, ব্রি-৪৯, ৯০, ৯৫ ও বিআর-২২, ব্রি-৮৭ বেশি চাষ হয়েছে। এসব চাষ হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, শান্তিগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও ধর্মপাশা উপজেলায়। যেখান থেকে প্রতি বিঘা জমিতে ১৪-১৮ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৪.৫ মেট্রিক টন।

এদিকে হাওরের কৃষক সুফিয়ান, বাদশা ও এখলাসুর রহমান বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। সেই সাথে বন্যায় যে ক্ষতি হয়েছে; সেটাও কাটিয়ে উঠতে পারবো।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জে ৮৩ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অর্জিত হয়েছে প্রায় ৮৩ হাজার ৪৯৫ হেক্টর। যেখান থেকে ৩ লাখ ২১ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হবে। যার বাজারমূল্য ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকেরা নিরাপদে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই, শুকানো শেষে গোলায় তুলছেন। এরই মধ্যে ৬৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com