বাংলা৭১নিউজ,(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে গত দুই দিনে ৩৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে প্রধান নদী সুরমাসহ সীমান্ত নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। শনিবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর সড়ক, সুনামগঞ্জ ধারারগাও সড়ক, আনোয়ারপুর-তাহিরপুরসড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে। এতে যাতায়াত ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তা ছাড়া দুই দিনের টানা বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জের পাদদেশে অবস্থিত মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতেও ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির পানি পাহাড়ি ঢল হয়ে ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জে এসে নামছে। এতে হাওর-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডুবিয়ে দিচ্ছে রাস্তাঘাট।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল ৯টায় সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমার পানি ৮.২৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। গত শুক্রবার ১৫৩ মিলিমিটার ও শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদ-নদী, হাওর-বাওরের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট প্লাবিত হচ্ছে। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত কয়েকদিনে প্রায় ৯০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ভারি বর্ষণের পানি নামছে সুনামগঞ্জের হাওর নদী দিয়ে। এ কারণেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে ঢলের পানিতে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কও প্লাবিত হয়েছে। এসব সড়ক এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে আরো জানা গেছে, প্রধান নদী সুরমাসহ সীমান্তনদী যাদুকাটা, চলতি, খাসিয়ামারা, চেলা, সোমেশ্বরীতেও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি না হওয়ায় কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, গত দুই দিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে পানি বাড়ছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে পানি আরো বাড়তে পারে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, এখনো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আমরা পরিস্থিতিতির দিকে নজর রাখছি। মাঠ প্রশাসনকেও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে