মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৫:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১৫৬ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় ১২৮তম বাংলাদেশ পানিতে ডুবে দুই সন্তানের মৃত্যু, শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা ঘর পাচ্ছে আরও ২০ হাজার ভূমিহীন পরিবার বাংলাদেশে চালের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণেরও বেশি বাজার মনিটরিংয়ের বিষয়টি আবার সচল করা হবে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের দুই বছরের কারাদণ্ড নিষেধাজ্ঞায় তাদের অপকর্ম থামেনি: ফখরুল ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা চট্টগ্রামে নির্বাচনে সংঘর্ষ, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন উপজেলা নির্বাচন : স্ট্রোক করে মারা গেছেন ১ ভোটার ও ১ আনসার ‘ভাইদের কোনো লাইসেন্স ছিল প্রমাণ দিতে পারলে শাস্তি মেনে নেব’ ভূতের গলিতে নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু পুলিশি বাধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যেতে পারেনি গণসংহতির মিছিল ‘আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই’ ভিসানী‌তির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধানকে নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র কুড়িগ্রামে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ১, ১৫ দিনের সাজা রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে মার্কিন ভূমিকার অভিযোগ অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের গোটা বাংলাদেশ কাঁটাতারের বেড়ায় আটকে আছে : রিজভী শরীয়তপুরে চেয়ারম্যানপ্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত

সুনামগঞ্জে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে শয্যা সংকট

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জ্বর-সর্দি, হাঁপানি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় কনকনে শীতের মধ্যেও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের চারপাশে দুর্গন্ধ। ভর্তি রোগীরে বিছানা, পর্দাসহ বস কাপড়েই ময়লা। বালিশগুলো তেল চটচটে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুরা অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে মেঝেতে। শুধু তাই নয় শিশু ওয়ার্ডের সামনে নেই হাত ধোয় কিংবা জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ৭০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যার ফলে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ। আমরা তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে লোকবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে আমাদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 

আমবাড়ি গোপালপুর গ্রাম থেকে আসা আরশাদ আলী বলেন, ‘ছেলে গত কয়েকদিন ধরে খুব অসুস্থ। স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। গত রাতে তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চারদিকে খুব দুর্গন্ধ।’

জামালগঞ্জ ভিমখালী ইউনিয়ন ভান্ডা গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা বেগম বলেন, ‘তিনদিন হয় ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালের বিছানা নোংরা। কেউ পরিষ্কার করতে আসে না। এছাড়া গত কয়েকদিনে হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে একটি ওষুধও পাইনি।

 

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈকত দাস বলেন, ‘শীতে শিশুদের প্রতি একটু বিশেষ নজর রাখলে ঠান্ডাজনিত রোগ এড়িয়ে যাওয়া যায়। শিশুকে গরম পানিতে গোসল করানো, গরম জামা-কাপড় পরানো, ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুরতে বের না হওয়া। তাহলে এসব ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ায় বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে আমাদের হাসপাতালে লোকবল, শয্যা ও চিকিৎসক সংকট থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএফ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com