বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ গভীর জেলখানায় হত্যা: শেখ হাসিনা-জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আরও এক মাস বাড়ল কর্ণফুলীতে গোসল করতে নেমে দুই পর্যটক নিখোঁজ টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবার সিলেট সীমান্তে সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ দেশের স্বাধীনতা, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করবো না: জামায়াত আমির ডিএমপিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ১৫২৯ মামলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে কয়েকশ’ ঘর ভস্মীভূত, নিহত ২ গ্রিনল্যান্ড কিনতে চান ট্রাম্প, ক্ষেপল ডেনমার্ক! নারায়ণগঞ্জে নসিমনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত দুদকের মামলায় গ্রেফতার সাবেক সচিব ইসমাইল গোপালগঞ্জ পৌর বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ইতিহাস গড়ল বাংলার মেয়েরা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের স্থিতিশীল ধারা অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরেই জাতীয় নির্বাচন সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতারের নির্দেশ বড়দিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সোয়াট-স্পেশালাইজড ইউনিট ঢাকায় বিয়ের দাওয়াতে এসে নোয়াখালীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক

সুনামগঞ্জে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, হাসপাতালে শয্যা সংকট

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত নানা রোগের প্রকোপ। প্রতিদিনই জেলার সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নারী-শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জ্বর-সর্দি, হাঁপানি ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় কনকনে শীতের মধ্যেও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

সরজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডের চারপাশে দুর্গন্ধ। ভর্তি রোগীরে বিছানা, পর্দাসহ বস কাপড়েই ময়লা। বালিশগুলো তেল চটচটে। চিকিৎসা নিতে আসা শিশুরা অযত্নে-অবহেলায় পড়ে আছে মেঝেতে। শুধু তাই নয় শিশু ওয়ার্ডের সামনে নেই হাত ধোয় কিংবা জীবাণুনাশকের ব্যবস্থা।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহে ঠান্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে ৭০০ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। যার ফলে হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ। আমরা তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে লোকবল ও চিকিৎসক সংকটের কারণে আমাদের কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে।

 

আমবাড়ি গোপালপুর গ্রাম থেকে আসা আরশাদ আলী বলেন, ‘ছেলে গত কয়েকদিন ধরে খুব অসুস্থ। স্থানীয় ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। গত রাতে তাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চারদিকে খুব দুর্গন্ধ।’

জামালগঞ্জ ভিমখালী ইউনিয়ন ভান্ডা গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদা বেগম বলেন, ‘তিনদিন হয় ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু হাসপাতালের বিছানা নোংরা। কেউ পরিষ্কার করতে আসে না। এছাড়া গত কয়েকদিনে হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে একটি ওষুধও পাইনি।

 

হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈকত দাস বলেন, ‘শীতে শিশুদের প্রতি একটু বিশেষ নজর রাখলে ঠান্ডাজনিত রোগ এড়িয়ে যাওয়া যায়। শিশুকে গরম পানিতে গোসল করানো, গরম জামা-কাপড় পরানো, ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুরতে বের না হওয়া। তাহলে এসব ঠাণ্ডাজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাবে শিশুরা।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, ‘শীতের প্রকোপ বাড়ায় বেশিরভাগ শিশু ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে আমাদের হাসপাতালে লোকবল, শয্যা ও চিকিৎসক সংকট থাকায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সিএফ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com