বাংলা৭১নিউজ,(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে টুপি ও চশমা কাড়াকাড়ির মতো তুচ্ছ বিষয় কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টা ও রাত ৮টায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের ঘিলাছড়া ও নরসিংপুর গ্রামবাসীর মধ্যে প্রথম দুই দফা সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। পর দিন বিকাল ৪টার দিকে ফের সংঘর্ষ বাধে।
শেষ দফা সংঘর্ষের খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ রাউন্ড রবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় নরসিংপুর গ্রামের আবুল হাসনাত ও ঘিলাছড়া গ্রামের কুতুব উদ্দিন ও একই গ্রামের নাসিরের মধ্যে টুপি ও চশমা নিয়ে প্রথম সংঘর্ষ বাধে। এতে হাসনাতসহ কয়েকজন আহত হন।
ওই ঘটনায় রাত ৮টার দিকে বৈঠক বসলে উত্তেজিত উভয়পক্ষ দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৮-১০ জন আহত হন।
এদিকে ওই দুই দফা সংঘর্ষের জের ধরে মাইকিং করে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে পাথর, কাচের বোতল, লাঠিসোটা, ইটপাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।
ঘণ্টাব্যাপী চলা তুমুল সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।
গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০ রাউন্ড রবার বুলেট ছোড়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই দুই গ্রামে পুলিশের মোতায়েন জোরদার করা হয়েছে। বিষয়টি আপসে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এলাকার বিশিষ্টজনরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এফএস