সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে আস্তমা ও কামরুপদলং গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কামরূপদলং মাদ্রাসার পূর্ব-পশ্চিমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আস্তমা গ্রামের গুরুতর আহত দুইজনকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কামরুপদলং গ্রামের গুরুতর আহত তিনজনকে পাঠানো হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে। অন্যান্য আহতরা শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
আস্তমা গ্রামের আহতরা হলেন- আক্তার হোসেন (৩০), দুলাল মিয়া (২০), জুয়েল মিয়া (৩০), শামসুজ্জামান (২৮), নাছির আলী (৫০), আবদুল জলিল (৩০), খাইরুল আমীন (২৬), এমরান হোসেন (২৮), সাদিক মিয়া (৪৫), নুরুজ্জামান (৩৫) ও সৌরভ হোসেন (২৬)। এছাড়াও এ গ্রামের পক্ষে আরো ১০/১৫ জন লোক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাৎক্ষণিক সময়ে তাদের নামপরিচয় জানা যায়নি। আক্তার হোসেন ও দুলাল মিয়া গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, কামরুপদলং গ্রামের পক্ষের আহতরা হলেন- বাতির আলী (৫৬), সুন্দর আলী (৭০), সুজন মিয়া (৩৫), কালাই মিয়া (২৭), মতিউর রহমান (৩২), শওকত আলী (২৭), নবী হোসেন (২২) ও শাফি আহমেদ (২৫)। তাদের পক্ষের আহত আরও ৭/৮ জনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গুরুতর আহত বাতির আলী, সুন্দর আলী ও সুজন মিয়াকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের আলগা বাড়ির কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরুপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ নিয়ে জমিতেই দুই কৃষকের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। সন্ধ্যায় মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন স্থানীয়রা। রবিবার সকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের ৫০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কোনো আটক বা গ্রেফতার নেই। যদি কোনো পক্ষ মামলা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/একে