রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জমে উঠেছে ‘ইবনে আল-হাইসাম সায়েন্স ফেস্ট’ বিপ্লব বড়ুয়া-নদভীসহ ১৯৮ জনের নামে মামলা চিকিৎসকদের একফোঁটা রক্ত ঝরলেই স্বাস্থ্যসেবা বন্ধের হুমকি আসবেন না সারজিস আলম, চিকিৎসকদের ভুয়া ভুয়া স্লোগান টিএসসিতে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে যা বললেন প্রক্টর ‘মুজিব কোটে’ আগুন দিয়ে দল ছাড়লেন আওয়ামী লীগ নেতা টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনা: সেই বাসের মালিক গ্রেফতার ৬ দিনে হিলি দিয়ে ভারত থেকে ১৬ হাজার টন চাল আমদানি যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক রমজানে কোনো পণ্যের ক্রাইসিস থাকবে না : ভোক্তার ডিজি ফখরুলের সঙ্গে আব্দুস সালাম পিন্টুর সাক্ষাৎ অস্থায়ী পাস নিয়ে সাংবাদিকরা সচিবালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন ৩১ ডিসেম্বর নিয়ে যা বললেন আসিফ মাহমুদ প্রথমবারের মতো যে পরিবর্তন এলো বিসিএসে, আবেদন শুরু কাল থেকে অস্থায়ী পাস নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা ৩১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগকে অপ্রাসঙ্গিক দল ঘোষণা করা হবে বিপিএলের পর্দা উঠছে আগামীকাল আগামীকাল থেকে ফের শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা গোয়েন্দা সংস্থা সংস্কারের ঘােষণা দিলেন সিরিয়ার নতুন গোয়েন্দা প্রধান ৩১ ডিসেম্বরের ঘোষণাপত্রটি লিখিত দলিল হবে: সারজিস

সুইস ব্যাংকে এক বছরে বাংলাদেশি সঞ্চয় বেড়েছে ১৯ শতাংশ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শুক্রবার, ৩০ জুন, ২০১৭
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে (সুইস ব্যাংক) এক বছরে বাংলাদেশি সঞ্চয় ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশিদের সঞ্চয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৬ কোটি ১৯ লাখ ফ্র্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যা ৫ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা (প্রতি সুইস ফ্র্যাংক ৮৫ টাকা হিসাবে)।

আগের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালে যা ছিল ৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক বছরে বেড়েছে ১ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। বৃহস্পতিবার সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব বাংলাদেশি পরিচয় প্রদান করে টাকা জমা রেখেছেন এটি হল তার চিত্র। কিন্তু এর বাইরে যারা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে টাকা রেখেছেন সে হিসাব এখানে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পরিচয় গোপনকৃত টাকা যুক্ত হলে এর পরিমাণ হবে আরও কয়েকগুণ।

এ ছাড়া এর বাইরেও বিদেশে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পাচার হয়ে থাকে। হুন্ডি ছাড়াও ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়। এমনকি ভুয়া এলসি খুলে কোনো কিছু আমদানি না করেও পুরো টাকা বিদেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিনিয়োগ না হওয়ায় পুঁজি পাচার হচ্ছে। আলোচ্য সময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের আমানত কমেছে। আমানত রাখার ক্ষেত্রে এ বছরও প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গভীর উদ্বেগজনক। কারণ সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের যে টাকা রাখা হয়েছে, সেটা মূলত দুর্নীতির।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের মূলত তিনটি কারণ। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে দুর্নীতি। দুর্নীতি বেড়েছে বলেই অর্থ পাচারও বেড়েছে।

এ ছাড়া দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ না থাকা, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণেও অর্থ পাচার বাড়ছে। তার মতে, অর্থ পাচার রোধ করতে হলে দুর্নীতি কমিয়ে আনার বিকল্প নেই। পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। নাগরিক জীবনেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘সুইস ব্যাংক কীভাবে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তা আমার জানা নেই। তবে টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় কাজ করছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

গত ১২ বছরের মধ্যে ২০১৬ সালেই সবচেয়ে বেশি আমানত সুইস ব্যাংকে। আলোচ্য সময়ে আমানতের পরিমাণ ৬৬ কোটি ১৯ লাখ ফ্র্যাংক। ২০১৫ সালে ৫৫ কোটি ৮ লাখ ফ্র্যাংক। ২০১৪ সালে যা ছিল ৫০ কোটি ৬০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০১৩ সালে ৩৭ কোটি ২০ লাখ ফ্র্যাংক, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা।

অপরদিকে ২০১২ সালে ছিল ২২ কোটি ৯০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০১১ সালে ছিল ১৫ কোটি ২০ ফ্র্যাংক। স্বর্ণালংকার, শিল্পকর্ম এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র জমা রাখলে তার আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে আমানতে যোগ হয় না।

১০ বছরে বাংলাদেশিদের আমানত : ২০০২ সালে ছিল ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্র্যাংক। ২০০৪ সালে ৪ কোটি ১০ লাখ, ২০০৫ সালে ৯ কোটি ৭০ লাখ, ২০০৬ সালে ১২ কোটি ৪০ লাখ, ২০০৭ সালে ২৪ কোটি ৩০ লাখ, ২০০৮ সালে ১০ কোটি ৭০ লাখ, ২০০৯ সালে ১৪ কোটি ৯০ লাখ এবং ২০১০ সালে ২৩ কোটি ৬০ লাখ ফ্র্যাংক রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে আলোচ্য সময়ে বিশ্বের সব দেশের আমানত কমেছে। ২০১৫ সালে সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার কোটি ফ্র্যাংক।

উল্লেখ্য, সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) হল সুইজারল্যান্ড সরকারের স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ আইন দ্বারা পরিচালিত এ ব্যাংকটি। এর নীতিনির্ধারণ সবই স্বাধীন। ২০০ বছরের পুরনো ইউরোপের এ প্রতিষ্ঠানটি মুদ্রা পাচারকারীদের নিরাপদ স্বর্গ।

১৯০৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে ব্যাংকটির মুদ্রানীতি এবং সুশৃঙ্খল কার্যক্রম বিশ্বের উন্নত দেশগুলো অনুসরণ করে। তবে পাচারকারীদের আশ্রয়দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে দেশটির পরিচিতি রয়েছে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০০২ সাল থেকে দেশভিত্তিক আমানতকারীদের তথ্য প্রচার শুরু করেছে তারা।

যেসব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি রয়েছে, সেসব দেশের ব্যক্তিগত পর্যায়ে তথ্য দেয়া হয়। এর কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশিদের আমানত কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সুযোগ থাকলেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে বাংলাদেশিরা সুইচ ব্যাংককে এখনও পাচার করা টাকা রাখার নিরাপদ স্থান হিসেবে মনে করে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com