দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সুইজারল্যান্ড থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’ অনুযায়ী স্পট মার্কেট থেকে এই এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৭৮৮ কোটি টাকা।
সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অবলম্বন করে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিদ্যুৎ, সার, শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য চারবার পুনঃকোটেশনসহ পাঁচবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলে দুটি কোটেশন জমা পড়ে। তাই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় আগামী ৫-৬ মার্চের মধ্যে এলএনজি কার্গো ক্রয় করার পর্যাপ্ত সময় না থাকায় পঞ্চমবার কোটেশন আহ্বান করে প্রাপ্ত সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার, সুইজারল্যান্ড’র কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করা হবে।
সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৪৩ মার্কিন ডলার হিসেবে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি ক্রয়ে ব্যয় হবে ৭৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৫২ টাকা।
এর আগে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো (৫-৬ মার্চ ২০২৫ সময়ে ৯ম কার্গো) এলএনজি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ, সার, শিল্পখাতসহ বিভিন্ন খাতে দেশে গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে স্পট মার্কেট হতে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য চারবার পুনঃকোটেশনসহ পাঁচবার আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হলেও গ্রহণযোগ্য সাশ্রয়ী দরদাতা পাওয়া যায়নি। আসন্ন রমজান মাস বিবেচনায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প ও সার কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার জন্য এবং পুনরায় কোটেশন আহ্বানের জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকায় আগামী ৫-৬ মার্চ এক কার্গো এলএনজি জরুরি ভিত্তিতে ক্রয় করা প্রয়োজন।
তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দেয়।
সূত্র জানায়, জরুরি ভিত্তিতে এক কার্গো এলএনজি ক্রয় করা না হলে ১-৫ মার্চ সময়ে দেশে দৈনিক আরএলএনজি সরবরাহ ৯০০ এমএমসিএফ থেকে কমে ৬০০ এমএমসিএফ এবং ৬-১০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ৮০০ এমএমসিএফ থেকে কমে ৫০০ এমএমসিএফ হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম