বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্তে কড়া নজরদারির কারণে এবার কমেছে ভারতীয় গরুর প্রবেশ। গত বছর আগস্টে শুধু নৌ-পথে ৪০ হাজারের বেশি গরু-মহিষ এসেছিল। এবার এসেছে সাড়ে ১৩ হাজারের মতো গরু। ভারতীয় গরু কম আসায় দেশি গরুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে পাইকারদের। ভালো দাম পাওয়ার আশাও করছেন খামারিরা।
কিছুদিন আগেও জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে নৌ-পথে প্রতিদিন ভারত থেকে শত-শত গরু-মহিষ আসতো। তারপর গরু প্রতি পাঁচশ’ টাকা ফি দিয়ে করিডোর করার পর বিক্রির জন্য তোলা হতো সদর উপজেলার যাত্রাপুর হাটে।
ফলে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা গরু কিনতে এই হাটে ভিড় করতেন। এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে খুবই সামান্য পরিমাণ গরু আসছে। এতে দেশি গরুর প্রতি আগ্রহ বেড়েছে পাইকারদের।
ভারত থেকে গরু কম আসায় ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন দেশের খামারিরা। ব্রহ্মপুত্র পাড়ের যাত্রাপুর হাটে ভারতীয় গরু কম আসায় বেড়েছে দেশি গরুর আমদানি।
জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দীপক রঞ্জন রায়ের দাবি, নিবিড় পর্যবেক্ষণের ফলে এবার গবাদি প্রাণি হৃষ্টপুষ্ট করার জন্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ব্যবহার করেননি খামারিরা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এবার ২৯ হাজার ষাঁড়, ২ হাজার বলদ, আড়াই হাজার মহিষ, ১২ হাজার ছাগল এবং সাড়ে ৭ হাজার ভেড়া পালন করেছেন কৃষক এবং খামারিরা।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস