বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
গুলশান জোনের ডিসি সুদীপ কুমার জানান, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ হচ্ছে। ওই জায়গা অনেক ব্যস্ত সড়ক। এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমরা পাইনি। দ্রুতই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হবে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাসস্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এই ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাবা।
সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব আলামত সংগ্রহ করে ক্রাইম সিন ইউনিট। বিষয়টি সবোর্চ্চ গুরুত্বরে সাথে তদন্তের কথা জানান পুলিশ। এরই মধ্যে মামলা স্থানান্তর করা হয়েছে ডিবিতে।
ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রি. জে. এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে তার মন থেকে এখনও কাটেনি ভীতি। তবে স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। মানসিক শক্তিও ধীরে ধীরে বাড়ছে।
এদিকে হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে দেখতে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেছেন, তার সাথে কথা বলে, একজন শিল্পীকে দিয়ে ভাল করে ছবি আঁকালে আসামীকে চিহ্নিত করা সম্ভব।
এসময় মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান।
বাংলা৭১নিউজ/এফআর