বিএনপি-জামায়াত ঘোষিত তিনদিনের অবরোধের পাশাপাশি সিলেটে চলছে যুবদলের ডাকা হরতাল। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) এক যুবদল নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে যুবদল।
হরতাল চলাকালে বুধবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার নগরের বন্দরবাজার এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হন। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে অবরোধ ও হরতাল সমর্থনে জেলরোড এলাকা থেকে মিছিল বের করে যুবদল। মিছিলটি বন্দরবাজারে এলে মহাজনপট্টি থেকে শিবিরের মিছিলও একই পয়েন্টে আসে। হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে ছাত্রলীগের একটি মিছিল ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি মোটরসাইকেল মিছিল বিপরীত দিক থেকে শান্তি সমাবেশের দিকে যাচ্ছিল।
এসময় হঠাৎ করে তাদের ওপর একযোগে হামলা করেন যুবদল ও শিবিরের কর্মীরা। এসময় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী আহত হন। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি যানবাহন। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ মিলিত হয়ে বিএনপি-জামায়াতকে ধাওয়া দিলে পিছু হটতে বাধ্য হন তারা। এরপর বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে, হরতালে সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নিত্যপণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি সকাল থেকে চলতে শুরু করেছে। বাস বন্ধ থাকলেও ভোর ৬টায় সময়মতো কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলস্টেশন মাস্টার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অবরোধ ও হরতালে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল না করায় ট্রেনে যাত্রীদের একটু চাপ ছিল।
অবরোধের দ্বিতীয় দিন ও হরতালের কারণে সিলেটে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। টহল দিচ্ছে বিভিন্ন সড়কে। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসি।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তায় আমরা মাঠে কাজ করছি। যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ