বন্যায় বিপর্যস্ত যখন জনজীবন। তখন তৃতীয় দফার এ বন্যা পরিস্থিতিতে সিলেট বোর্ডের অধীনে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে জনমনে। বন্যাকবলিত এলাকার কেন্দ্রগুলো পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা কীভাবে কেন্দ্রে যাবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষক ও অভিভাবক।
এইচএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অঝর ধারার বৃষ্টি ও বন্যার মধ্যে কীভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এ নিয়ে উদ্বেগে আছেন তারা।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বোর্ডের অধীনে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৩ আগস্ট থেকে স্থগিত চারটি বিষয়ের পরীক্ষা যথারীতি শুরু হবে।
এদিকে সব পরীক্ষা স্থগিত প্রসঙ্গে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন কুমার পাল জানান, স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে এখন পর্যন্ত পূর্বঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন্যা আক্রান্ত এলাকার উপজেলা, জেলা প্রশাসনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা বোর্ড ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাতে পারে। পরীক্ষা স্থগিতের ব্যাপারে বোর্ড নয়, আন্তঃশিক্ষা বোর্ড তথা সরকারের উচ্চ মহলের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পরিস্থিতি বর্ণনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে, রোববার (৩০ জুন) বিকেলে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে চারটি বিষয়ের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত সময়সূচিতে দেখা যায়, আগামী ১৩ আগস্ট বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা, ১৮ আগস্ট বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি প্রথম পত্র এবং ২২ আগস্ট ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।পূর্বের সময় অনুযায়ী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সব বিষয়ের পরীক্ষা ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, এবার বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত সিলেটে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এই দুই জেলার মধ্যে সিলেটে ৫৯টি ও সুনামগঞ্জে ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসকে