সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হওয়ার কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে পড়েছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্রদেশ ইরান। পরিস্থিতি অবনতির মুখে সিরিয়া থেকে সামরিক কমান্ডার এবং অন্যান্য ইরানি কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে তেহরান। সূত্রের বরাত দিয়ে এমন খবর দিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
আঞ্চলিক ও ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়া থেকে যাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার, কয়েকজন কূটনীতিক এবং তাদের পরিবার এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা রয়েছেন। জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মার্কিন সংবাদপত্রটি আরও জানায়, কিছু কর্মকর্তা তেহরান থেকে বিমানপথে, অন্যরা স্থলপথে লেবানন, ইরাক এবং সিরিয়ার বন্দর শহর লাতাকিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ইরান গত এক দশকব্যাপী সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের প্রধান সমর্থক। সিরিয়ার বর্তমান সরকার ইসরাইল এবং মার্কিন-বিরোধী হিসেবে পরিচিত।
শুধু তাই নয়, বাশার আল আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে ইরানপন্থি লেবাননের সশস্ত্র আন্দোলন হিজবুল্লাহ। গত সপ্তাহ থেকে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় আক্রমণ পরিচালনা করেছেন বিদ্রোহীরা। তিনদিনের মাথায় শনিবারের মধ্যে তারা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরইমধ্যে
বিদ্রােহীদের এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসলামপন্থী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল–শাম (এইচটিএস)। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা সিরিয়াযুদ্ধে যুক্ত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তাদের। এরমধ্যে হামা এবং দেরা শহরও দখল নিয়েছে বিদ্রােহীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান নাঈম কাশেম সিরিয়ার বাশার সরকারকে অটুট সমর্থন ঘোষণা করেছেন। তিনি সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলের ভূমিকার সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সত্ত্বেও তারা (বিদ্রোহীরা) তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না, এই আগ্রাসন প্রতিহত করতে হিজবুল্লাহ সিরিয়ার সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ