বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
১৪ বছরে সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে ৫১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হেফাজতে ইসলামের একপক্ষের কমিটি ঘোষণা, অন্যপক্ষের প্রত্যাখ্যান এম এ মান্নানের জামিন শুনানি নিয়ে হট্টগোল, এজলাস ছাড়লেন বিচারক শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ করা আ.লীগ নেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা সাংবাদিকদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে সিইউজের স্মারকলিপি টেস্ট ক্রিকেটে জো রুটের বিশ্বরেকর্ড গণপিটুনিতে রেনু হত্যা: একজনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ৪ গোয়ালন্দে পদ্মায় ভাঙন, ঝুঁকিতে বসতবাড়ি-স্কুল এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা ১০০ বছরের সবচেয়ে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘মিল্টন’: বাইডেন রেনু হত্যা মামলার রায় আজ রসায়নে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা বিকেলে গুজব নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ আরও ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুরা ক্ষতিপূরণ পাবেন : উপদেষ্টা নাহিদ জাহাজে কম খরচে হাজিদের হজে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে: ধর্ম উপদেষ্টা শপথ নিলেন হাইকোর্টের ২৩ বিচারপতি শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ

সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের জয়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১২১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ২০০২ থেকে ২০০৯- ঘরের মাঠে টানা ১৭টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, যা এখনো বিশ্ব রেকর্ড।

২০০২ সালে বাংলাদেশকে হারানোর মধ্য দিয়ে রেকর্ড বুকের খাতা খুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৯ সালে প্রোটিয়াদের জয়ের লাগাম টেনে ধরে ইংল্যান্ড।

সেই ইংল্যান্ডই এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশের টানা সপ্তম সিরিজ জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল। ঘরের মাঠে টানা ছয়টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশকে বুধবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।

৮ বছরে নিজেদের মাটিতে শ্রীলঙ্কা, ভারত, কেনিয়া, ইংল্যান্ডকে একবার করে এবং বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াকে দুবার হারায় প্রোটিয়ারা। প্রতিবেশী জিম্বাবুয়েকে হারায় তিনবার। বাংলাদেশও টানা ছয়টি সিরিজ জয়ে জিম্বাবুয়েকে সর্বোচ্চ দুবার হারায়। এ ছাড়া জয় পায় পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

লাকি ভেন্যুতে লাকি সেভেন হয়নি বাংলাদেশের! আফসোস থাকার কথা নয়! নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল মাশরাফির দল। বিধাতার লিখন খণ্ডাবে কে! তবে হেরে যাওয়া ম্যাচে প্রাপ্তিও কম নয়। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটে ওয়ানডে ক্রিকেটে তামিমের পাঁচ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছান, মুশফিকুর রহিমের রানে ফেরা, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাহসিক ইনিংস বাংলাদেশকে হাসাতেই পারে। পরবর্তীতে মাশরাফির বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, তাসকিনের গতি, শফিউলের নিখুঁত আক্রমণ, নাসির ও মোসাদ্দেকের ঘূর্ণি-জাদু ক্রিকেটপ্রেমিদের মুগ্ধ করেছে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। দুদিন আলোর মুখ না দেখা উইকেট কীরকম আচরণ করে, তা নিয়ে ছিল জল্পনা-কল্পনা। কিন্তু ইমরুল কায়েস ও তামিম ইকবালের ব্যাটে খুব স্বাভাবিকভাবেই বল আসছিল। বলও উঠছিল স্বাভাবিক উচ্চতায়। দুজন উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৮০ রান, যা ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

স্বাগতিক শিবিরে প্রথম আঘাতটি করেন বেন স্টোকস। নিজের পছন্দের পুল শট খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন ইমরুল (৪৬)। এর কিছুক্ষণ পর তামিম ৩৮ রান তুলে ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজার রান পূর্ণ করেন। কিন্তু বেশিদূর যায়নি তার ইনিংস। ৪৫ রানে তামিম নিজের উইকেট আদিল রশিদকে গিফট করে আসেন। তারপর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহও একই পথে হাঁটেন। নিজের ষষ্ঠ বলে রশিদকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

চতুর্থ উইকেটে সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম যোগ করেন ৫৪ রান। দুই সিনিয়ার ক্রিকেটারের পর সাব্বির রহমানও হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন। আউট হন হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থেকে। ঘাতক সেই আদিল রশিদ। অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে বাটলারকে। এরপর মঈন আলীর স্টাম্পিংয়ের শিকার সাকিব আল হাসান (৪) এবং রশীদের চতুর্থ শিকার নাসির হোসেন (৪)।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩৯তম ওভার থেকে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়াই করেন মুশফিকুর রহিম ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সপ্তম উইকেটে দুজন ৮৫ রান যোগ করেন, যা সপ্তম উইকেটে ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। মুশফিকুর রহিম ছিলেন অনবদ্য। টেস্ট অধিনায়কের ৬৭ রানের ওপর ভর করে বাংলাদেশ পায় লড়াকু পুঁজি। ৭ ইনিংস পর মুশফিক পান হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ। ৬২ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় মুশফিক তার ইনিংসটি সাজান।

এ ছাড়া তরুণ মোসাদ্দেক দিয়েছেন সাহসিকতার পরিচয়। গুরুত্বপূর্ণ ৩৯ রান যোগ করার পাশাপাশি মোসাদ্দেকের রানিং বিটউইন দ্য উইকেটেও ছিলেন দুর্দান্ত। ১ রানগুলোকে ২ রান, ২ রানগুলোকে ৩ রান বানিয়ে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করেন। বল হাতে বাংলাদেশকে ভোগানো রশিদ ৪৩ রানে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।

২৭৮ রানের লক্ষ্য ছোট ছোট জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ইংল্যান্ড। শুরুতে ৬৩ রান যোগ করেন জেমস ভিনস ও স্যাম বিলিংস। এ জুটি ভাঙেন নাসির। নিজের প্রথম ওভারে চতুর্থ বলে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে ভাসান নাসির। দ্বিতীয় উইকেটে বেন ডাকেটকে নিয়ে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বিলিংস। মোসাদ্দেকের বলে দলীয় ১২৭ রানে ফেরেন বিলিং(৬২)। মুগ্ধ করা তরুণ বেন ডাকেটকে আউট করেন পেসার শফিউল। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে স্কুপ করতে গিয়ে মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন ডাকেন (৬৩)।

এরপর দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন বাটলার ও মঈন আলী। ২৩৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ড আর পথ ভোলেনি। ৩২ বলে ৪২ রান যোগ করে স্টোকস ও ওকস জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। স্টোকস ৪৭ ও ওকস ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

জয়ের থেকে ২১ রান দূরে থেকে ওকস তাসকিনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন। ইমরুল যদি ক্যাচটি মিস না করতেন ভিন্ন কিছু হয়তো হতেও পারতো!

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com