বাংলা৭১নিউজ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের চলনবিলসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হলুদ ফুলে ভরা সরিষা মাঠে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন মৌ চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরিষা চাষ বৃদ্ধির সাথে মৌ চাষেও ঝুকে পড়েছেন চাষিরা।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, সরিষার হলুদ রংয়ের ফুলে ভরে উঠেছে দিগন্ত জোড়ামাঠ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। এযেন হলুদের সমারোহ।
সিরাজগঞ্জ সদরসহ শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, তাড়াশ, রায়গঞ্জ, বেলকুচি, চৌহালী, কাজীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষিরা সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করছে। এসব মধু ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন তারা।
একদিকে দেশের বেকার সমস্যা দুর হচ্ছে অপরদিকে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরে আসছে। বছরের নভেম্বর থেকে শুরু করে ফেব্রুয়ারীর মাঝা-মাঝি পর্যন্ত চলে সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহ।
চলনবিলের মাঝ বরাবর বনপাড়া-হাটিকুমরুল যমুনা সেতু সংযোগ মহাসড়কের দু’ধারে মাঠের পর মাঠ দৃষ্টিনন্দন মনোমুগ্ধকর থোকা থোকা হলুদ ফুলের চাদর বিছানো। সেই সরিষা ক্ষেতের আলে আলে এখন শুধুই সারিসারি মৌ-বাক্স।
ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি উড়ে গিয়ে সরিষা ফুলে বসছে। কিছুক্ষণ পর পর মধু নিয়ে উড়ে এসে মৌমাছির দল ফিরছে মৌ-বাক্সে। চলতি মৌসুমে যদি আবহাওয়া অনুকূল থাকে তাহলে চলনবিল থেকে এক হাজার ৫শ’ থেকে এক হাজার ৬শ’ টন মধু আহরণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন মৌ চাষিরা।
কামারখন্দের মৌ চাষি আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, গত ১০ বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জেলার গ্রামাঞ্চলে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মৌসুমী ফসলের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে আসছি। এবার আমি ১৫০টি বাক্স বসিয়েছি। এবার মধু আহরন ভাল হবে আশা করছি। তবে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে মৌমাছি বাহিরে যেতে না পারায় অনেক ক্ষতি হয়েছে।
কথা হয় মৌ চাষি মো. জাকারিয়ার সাথে। তিনি বলেন, উল্লাপাড়া উপজেলায় সরিষা ক্ষেতে ২০০টি বাক্স বসিয়েছি। সরিষা, ধনিয়া, কালোজিড়াসহ বিভিন্ন প্রকার রবি শষ্যের ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে। বছরে ৭ মাস বিপুল পরিমান মধু সংগ্রহ করা যায়। আমার মতো অনেকেই আছে মৌ চাষের মাধ্যেমে মধু সংগ্রহ করছে। তিনি বলেন, আমরা নিজ উদ্যেগে মৌ চাষ করে আসছি।
কৃষি কর্মকর্তা আরশেদ আলী জানান, এবার সিরাজগঞ্জ সদরসহ চলনবিল অঞ্চলের রবি মৌসুমে প্রায় ৬৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন আগাম ও নাবী জাতের সরিষা চাষ হয়েছে। এবার ফলন ভাল হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস