বাংলা৭১নিউজ,(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ, কামারখন্দ ও তাড়াশে আলাদা আলাদা ঘটনায় স্কুল ছাত্র-ছাত্রী ও ব্যবসায়ীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ সদর, কামারখন্দ উপজেলা ও তাড়াশ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রাব্বি (১০) তাড়াশ পৌর শহরের নিকারী পাড়া গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে ও তাড়াশ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র, রেহেনা খাতুন (৩৫) উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী, আব্দুল হাই (৬০) নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কালিবাড়ি গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে, সুমাইয়া খাতুন (১৯) কামারখন্দ উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের পাইকোশা গ্রামের মৃত আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে ও একই গ্রামের ইসমাইলের স্ত্রী, মেঘলা খাতুন (১০) সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার চর রায়পুর গ্রামের মো. রাজার মেয়ে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে ফুটবল নিয়ে খেলার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় রাব্বি। দুপুরে সে বাড়িতে না ফিরে এলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাড়াশ ওয়াপদা বাঁধ এলাকায় খালের পানিতে তাকে ভাসতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাড়াশ থানা পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জের চান্দাইকোনা হাট থেকে গরু কিনে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুল হাই। নছিমনটি তাড়াশ-মহিষলুটি আঞ্চলিক ড়কের খুটিগাছা এলাকায় পৌঁছলে গরু বোঝাই নছিমন খাদে পড়ে ব্যবসায়ী হাই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তাড়াশ হাসপাতালে নিলে কর্বত্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিএম আব্দুল্লাহেল বাকি জানান, উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি গ্রামের রুহুল আমিনের স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী রেহেনা খাতুন (৩৫) পারিবারিক কলহের জের ধরে শুক্রবার গভীররাতে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেন।
কামারখন্দ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাইকোশা গ্রামে বিষপান করেন সুমাইয়া। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, নিহত ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা
এখনও জানা যায়নি। কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু কুমার ঘোষ জানান, শুক্রবার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে স্কুলছাত্রী মেঘলা বাড়ি থেকে রিকশায় করে মালশাপাড়ায় নানার বাড়ি যাচ্ছিল। রিকশাটি শহরের মিরপুর ওয়াপদা এলাকায় পৌঁছার আগেই তার ওড়নাটি রিকশার চাকায় পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগে এবং শিশুটি পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাংলা৭১নিউজ/জেআই