বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে বলেছেন, বিগত পাঁচ বছর আমরা একসাথে কাজ করেছি। দুঃখের বিষয় এই পাঁচ বছরের প্রায় আড়াই বছরই আমাদেরকে এক ব্যক্তির (সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা) সাথে খেলতে হয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যক্তি বাংলাদেশের তিনটা অঙ্গের মধ্যে অহেতুক বা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্থ ছিলেন এবং আমাদের বিশ্বাসের আশ্রয়স্থল সুপ্রিম কোর্টকে দুর্নীতিগ্রস্থ করার ব্যাপারে ভূমিকা রেখেছিলেন। এটা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক । সৌভাগ্য যে আমরা তার রাহু থেকে মুক্ত হয়েছি।
আজ সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হককে যে দিন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সেদিন তিনি (এসকে সিনহা) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে নিজের পজিশনকে কাজে লাগিয়ে মামলা করিয়েছিলেন। এরপর তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগ আদেশের উপর স্টে অর্ডার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে চাইলে মানুষ যাতে বিচার পায়, বিচার যাতে বিলম্বিত না হয় সেটার একটা ব্যবস্থা আমাদের করতেই হবে। কারণ বিচার বিলম্বিত হলে জুডিসিয়ারি ধ্বংস হবে এবং জনগণের মধ্যে স্ট্রিট জাস্টিস ধারণা চলে আসবে। আমরা কেউ চাইনা স্ট্রিট জাস্টিট। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে ভিশন তার সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত সুশাসন। সুশান ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বিচার বিভাগে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ৩৪ লাখ মামলার জট থেকে মুক্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে। এই মামলার জট নিরসনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি(এডিআর) কে কার্যকর করতে হবে এবং এই পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছরে আইন ও বিচার বিভাগে অনেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর দেওয়া সংবিধানে বিচার বিভাগকে স্বাধীন অরগান হিসেবে উল্লেখ করে গেছেন এবং বিচার বিভাগের এই স্বাধীনতা যাতে জনগণ ভোগ করতে পারেন তার রূপরেখা সংবিধানে গিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছেন তার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রদানের ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু জনগণের কাছে যে অঙ্গীকার করে গেছেন আমরা তার বাস্তবায়ন চাই। সেজন্য জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাকে আগামী পাঁচ বছরে বর্তমানের তুলনায় পাঁচগুণ বেশী শক্তিশালী করতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসই