নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গ্যারেজে রাখা মেয়রের ব্যবহৃত গাড়ি (জিপ), ২টি অ্যাম্বুলেন্সসহ ১১টি যানবাহন আগুনে পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর পৌনে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ জানতে হবে।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে মেয়রের ব্যবহৃত গাড়ি, দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও আটটি ‘চলো’ নামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গ্যারেজে রাখা ছিল। পৌরসভার মালিকানাধীন এই ‘চলো’ যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হয়। আজ ভোর পৌনে চারটার দিকে হঠাৎ গ্যারেজে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় গ্যারেজের একজন নৈশপ্রহরী আগুনে আহত হন। আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাটি জানার পর দ্রুত ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগে ফোন দেন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভাতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে গ্যারেজের ভেতরে রাখা ১১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে গ্যারেজের বাইরে রাখা দুটি গাড়ি অক্ষত রয়েছে। পরে পুলিশ ও পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাস্থলের পাশের একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিনি ভোর পৌনে চারটার দিকে ঘুম থেকে জেগে যান। তখন পৌরসভার পাশের মডেল মসজিদের মাইকে আগুন লাগার খবর প্রচার করা হচ্ছিল। তখন বিদ্যুৎও ছিল না।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সুমন আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে গ্যারেজে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। গাড়িতে জ্বালানি ও ব্যাটারি থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়। গ্যারেজের বাইরে থাকায় দুটি গাড়ি অক্ষত রয়েছে।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, গতকাল রাতে চালকেরা গাড়িগুলো গ্যারেজে রেখে বাড়িতে গেছেন। ভোরে হঠাৎ আগুন লেগে ১১টি গাড়ি পুড়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএকে