বাংলা৭১নিউজ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আনোয়ারার রাঙাদিয়ায় ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) সার কারখানার একটি ট্যাংক ফুটো হয়ে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী কর্ণফুলী থানাধীন সিইউএফএল এর সঙ্গে লাগানো সার কারখানাটিতে এ ঘটনা ঘটে।
কারখানাটি চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) এর সীমানায় অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ট্যাংক থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস কর্ণফুলী নদীর অপর তীরের পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দরসহ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে অন্তত ৩৫ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সিএমপি’র বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার জাহেদুল ইসলাম জানান, গ্যাস নিঃসরণ শুরু হলে আশেপাশের অনেকেই তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি শুনেছেন।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই পংকজ বড়ুয়া বলেন, গ্যাসে অসুস্থ অন্তত ৩৫ জনকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডিএপি সার কারখানার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কারখানার ৫০০ টন ট্যাংক ফুটো হয়ে এই গ্যাস ছড়াচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ছিদ্র বন্ধে কাজ শুরু করেছে।
তবে কীভাবে ওই ট্যাংক ছিদ্র হলো তা তাৎক্ষণিকভাবে কেউ জানাতে পারেননি।
এদিকে ঘটনাস্থলে দমকলকর্মীদের পাঠানো হয়েছে বলে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, অ্যামোনিয়া গ্যাস যাতে বেশি ছড়াতে না পারে সেজন্য দুর্ঘটনা কবলিত ট্যাঙ্কের আশপাশে বিপুল পরিমাণ পানি ছিটানো হচ্ছে।
কারখানায় কাছাকাছি তিনটি ট্যাংকের একটিতে ছিদ্র হলেও বাকি দুটি ঠিক আছে বলে জানান তিনি।
মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, বাতাসে অ্যামোনিয়া ছড়ালে এর প্রভাবে মাথায় ঝিমুনি, বমি ভাব ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ অবস্থায় নিরোধক ‘মাস্ক’ ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস