সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো বাংলাদেশ ছয় মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৩.৯ শতাংশ: অর্থমন্ত্রী সোনার দাম আরও বাড়লো ব্যর্থতা ঝেড়ে বিশ্বকাপ রঙিন করার প্রত্যাশা জ্যোতির পালিয়ে বাংলাদেশে এলেন আরও ৮৮ বিজিপি সদস্য এবি ব্যাংক পিএলসি যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপে তীব্র তাপপ্রবাহের পর হবিগঞ্জে ঝড়-শিলাবৃষ্টি গুচ্ছের বি ইউনিটের ফল প্রকাশ তাপপ্রবাহ এবারই শেষ নয়, প্রস্তুতি শুরুর পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাওরের প্রায় শতভাগ বোরো ধান কাটা শেষ ২৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সময় লাগবে ২-৩ দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া গেলেন বিমান বাহিনী প্রধান সরকার তৃণমূল মানুষের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে ক্র্যাবের মানববন্ধন উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করুন: রিজভী গ্যাস পাচ্ছেন গোপালগঞ্জবাসী অপারেশনের নামে হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন মিল্টন সমাদ্দার আশ্রমকাণ্ডে দায় এড়াতে পারেন না মিল্টনের স্ত্রী

সার্কের কার্যকারিতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি : প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোপারেশন (সার্ক)-এর কার্যকারিতা হারানোর অভিযোগকে উড়িয়ে দিলে বলেন, এই আঞ্চলিক জোট ‘খুব ভালোভাবেই সক্রিয় আছে’।

তিনি বলেন, সার্কের কার্যকারিতা এখনো শেষ হয়ে যায়নি, আট জাতির এই আঞ্চলিক সংস্থাটি খুব ভালোভাবে সক্রিয় আছে এবং আমি মনে করি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য এর মাধ্যমে আরো অনেক কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ৪৭তম বার্ষিক সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ায় হারনিসিং রিজিওনাল কো-অপারেশন বিষয়ক একটি ইন্টারেক্টিভ সেশনে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

এই ইন্টারেক্টিভ সেশনে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রেনিল উইক্রিমিসিঙ্গী, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান ও সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের সদস্যগণ যোগদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী, এই অঞ্চলের প্রধান শত্রু হিসেবে দারিদ্র্যকে আবারো চিহ্নিত করে বলেন, ‘আমরা কীভাবে দারিদ্র্য নির্মূল করতে পারি সেদিকেই আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে সার্কভুক্ত দেশগুলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার করতে হবে এবং মানুষের সাথে মানুষের যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

‘আমরা দারিদ্র্য নির্মূল করতে কাজ করে যাচ্ছি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্যে বিবিআইএন, বিসিআইএম-ইসি ও বিমসটেক ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যকে গতিশীল করতে সাফটা শক্তিশালী হচ্ছে। বৃহত্তর পরিসরে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে চীনকে একীভূত করার জন্য বিসিআইএম-ইসি ফোরাম গঠন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এ অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ উন্নয়নের জন্য কক্ষপথে একটি সার্ক স্যাটেলাইট চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে বাংলাদেশে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে- এ সংক্রান্ত পাকিস্তানের সুশীল সমাজের এক প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘যাদেরকে আপনি বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক বলে সম্বোধন করছেন, তারা সকলেই ১৯৭১ সালে অপরাধ সংগঠনের সময়ে নবীন ছিলেন এবং তারাই এই গণহত্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সে সময় জঘন্যতম হত্যাকান্ড, ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে সম্পৃক্ত ছিলেন। এসব অপরাধেই তাদেরকে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার এবং দন্ড প্রদান করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশ থেকে তাদের বিনিয়োগ ফিরিয়ে নেয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এক দেশ থেকে বিনিয়োগ অন্যত্র সরিয়ে নেয়াটা কোন অংশেই সহজ কাজ নয়।

এ সময় দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে তাঁর সরকারের উদ্যোগে গৃহীত বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণ কর্মসূচিরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ৪শ’ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। এছাড়াও জলবায়ু সম্পর্কিত অভিযোজন মোকাবেলায় ১৩৪টি অ্যাকশন প্লান গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের জন্য দায়ী উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে জলবায়ু ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশের ওপর বিরূপ কোন প্রভাব পড়বে কি না-এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দূষণকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্যই এই কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে উন্নততর এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ আমাদের সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য আমাদের ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রয়োজন। আর এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লাকে ব্যবহার করতেই হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরামাণুভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কয়লার ব্যবহারও বাড়াতে হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com