সরকারবিরোধী আন্দোলনে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে রাজপথে নামছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আগামীকাল শনিবার সারা দেশে পালন করা হবে গণমিছিল। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলন শুরু হচ্ছে।
শনিবার ঢাকা মহানগর ও জেলা ছাড়া সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচির নেতৃত্ব নির্ধারণ করেছে বিএনপি। বিভাগীয় পর্যায়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও যুগ্ম মহাসচিবদের এ নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জেলায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন।
শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালে প্রিন্স।
এই কর্মসূচির সার্বিক সমন্বয় করবেন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা। উপস্থিত থাকবেন ওই মহানগর ও জেলার কেন্দ্রীয় নেতারা।
চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলার গণমিছিলে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রাজশাহী মহানগর ও জেলার দায়িত্বে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খুলনা মহানগর ও জেলায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, কুমিল্লা মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার দায়িত্বে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বরিশাল মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে।
এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা এবং গাজীপুর মহানগর ও জেলার দায়িত্বে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। রংপুর মহানগর ও জেলার দায়িত্বে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিলেট মহানগর ও জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কিশোরগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী জেলায় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজবাড়ী জেলার দায়িত্বে আছেন যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, যশোর মহানগর ও জেলায় যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গণমিছিল সফলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলার দায়িত্বে আছেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, দিনাজপুরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, নাটোরের দায়িত্ব আছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ থেকে সরকার পতনে ১০ দফা ও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এসব দফা ও কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানায় বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটের সব শরিক ও সমমনা দলগুলো। জামায়াতে ইসলামীও বিএনপির এ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেয়।
২৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ওইদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। দলটির পক্ষ থেকে কর্মসূচি পেছানোর আহ্বান জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার কর্মসূচির তারিখ পরিবর্তন করে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ