বাংলা৭১নিউজ,সাভার: সাভারে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক স্থান থেকে অজ্ঞাত এক নারী ও এক শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে প্রতিবেশী এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সকালে সাভার পৌর এলাকার জামশিং থেকে অজ্ঞাত ওই নারী এবং শুক্রবার রাতে উপজেলার হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুর নাম নাফিজা আক্তার (৭)। সে সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার হাবিবুল্লাহ নিপু ও ফাতেমা বেগম দম্পতির মেয়ে। নাফিজা স্থানীয় গোল্ডেন বাংলা স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তবে অজ্ঞাত নারীর নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
এছাড়া শিশুকে হত্যার ঘটনায় আটক ব্যাক্তিরা হলো, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানা এলাকার সোনালী বেগম (৩০) ও তার স্বামী মোকসেদুল ইসলাম (৩৮)। তারা সবাই সাভারের জয়নাবাড়ী এলাকার হাজী জাহাঙ্গীরের পাঁচতলা বাড়িতে ভাড়া থাকতো।
পুলিশ জানায়, আজ সকালে সাভার পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর জামসিং মহল্লার মৃত রমজান মোল্ল্যার পরিত্যক্ত নির্মানাধীন ভবনের দেয়ালের পাশে অজ্ঞাত পরিচয় এক নারীর (৩২) হাত ও মুখ বাধা অবস্থায় বস্তাবন্দি মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। বিষয়টি সাভার মডেল থানায় জানানো হলে পুলিশ নিহতদের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হসপাতালে প্রেরণ করে।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মৃতদেহটি গুম করার জন্য বস্তায় ভরে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ওই নারীর মুখমণ্ডলে আগুনে পোড়ার দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে নিহত নারীর নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে ‘
অন্যদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার হাজী জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ির একটি কক্ষের খাটের নীচ থেকে নাফিজা নামে সাত বছরের শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার শিশু নাফিজা নিখোঁজ হলে সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করে তার স্বজনরা। কোনও খোঁজখবর না পাওয়ায় শুক্রবার সাভার মডেল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পরে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আটক দম্পতির ঘরের খাটের নিচ থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাস খানেক আগে নিহত শিশুর মায়ের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ধার নেয় আটককৃতরা। পাওনা টাকা চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক দম্পতি হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করে নিহতের মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সি এইস