রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানায় চাঁদা দাবি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেনের আদালত।
এর আগে, কামরুলের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামারাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদ হাসান ও পলাশ চন্দ্র দাস। এ দিন শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
তার পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী। শুনানি শেষে তার দুই দিন করে চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাদী সগির আহমেদ সুজনের বাড়ি ভাঙচুরের হাত থেকে বাঁচাতে তার কাছ থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন কামরুল ইসলাম। সগির আহমেদ এক জনের মাধ্যমে তাকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দেন।
চাঁদা দাবির বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করায় কামরুলের নির্দেশে মামলার অন্য আসামিরা গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর বাদীর বাড়িতে ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করাসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপসসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন সগির আহমেদ।
কামরুলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন আলী আহাম্মদ নামের এক ব্যক্তি। ৪ সেপ্টেম্বর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন তিনি। মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে কামরাঙ্গীরচর থানাকে আদেশ দেন আদালত।
মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ছাড়াও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম