বাংলা৭১নিউজ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান খোকনের ছোট ভাই আল আমীন ডানু, জেঠাত ভাই লাভলু খান ডিবু ও বাবুলসহ ৫জন মিলে সদর উপজেলার হেরুয়া বালুরঘাট গ্রামের দরিদ্র বিধবা মনোয়ারা বেগমের দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে শেরপুর সদর থানায় একটি চুরি মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই বাদীকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বিবাদী পক্ষ। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে অসহায় এ পরিবারটি।
মামলার বিবরণে জানাযায়, শেরপুর সদর উপজেলার হেরুয়া বালুরঘাট গ্রামের বিধবা দরিদ্র মনোয়ারা বেগম তার অসুস্থ পুত্রকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ চলে যান। এ সুযোগে আল আমীন ডানু, জেঠাত ভাই লাভলু খান ডিবু ও বাবুলগংরা দুটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। পরে পাশ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে একটি গরু বিক্রি করে দেয়। এসময় মনোয়ারার ভাই চোরসহ গরু সেখানে দেখতে পেলে পুলিশে খবর দিলে চোরেরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে শ্রীবরদী থানা পুলিশ চুরাই একটি গরু উদ্ধার করে। অভিযোগ রয়েছে বাজার থেকে কতিপয় লোকজন চোরদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে।
এঘটনায় বিধবা মনোয়ারা বেগম প্রথমে নিজ গ্রামে শালিস বৈঠকে বিচার চাইলে বৈঠকে চোরোর হাজির না হয়ে উল্টো বাদী পক্ষকে হুমকি দেয়। পরে সে বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দিলে ১৩ এপ্রিল মামলাটি রেকর্ড হয়। এঘটনার পর থেকে বাদী পক্ষকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে দাবী করা হচ্ছে। বিধাব মনোয়ারা বেগমের ভাই ও মামলার স্বাক্ষী কুত্বু উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ১৫ এপ্রিল দুপুরে শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান খোকন শেরপুর ডিসি গেইটের নিকট তাকে প্রাণ নাশের হুমুকি দেয়। ফলে ওই পরিবারটি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস