বাংলা৭১নিউজ, মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: বোদা উপজেলা সহ পঞ্চগড় জেলার মানুষ সব সময়ে সাপ আতঙ্কে থাকে। আগে চেয়ে বর্তমানে এ অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সাপ আতঙ্ক প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর কারণ আগের চেয়ে গত ১ বছরে এ জেলায় বেশ কয়েক জন মানুষ সাপ দংশনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এর মধ্যে নব বধু, সব্যবিবাহিত যুবক, বৃদ্ধ, শিশু সহ কেউ বিষাক্ত সাপের দংশন থেকে রক্ষা পায়নি। বিষাক্ত সাপের দংশন দিলে তার কোন চিকিৎসা পঞ্চগড়ে নেই।
জেলা সদর সহ ৫ উপজেলার কোথায় বিষাক্ত সাপের দংশনের ভেকসিন পাওয়া যা না। এক কথায় সাপ দংশনের কোন চিকিৎসাপত্র এ জেলার কোথায় নেই। এতে এ জেলার মানুষগুলো সাপের দংশনের শিকার যে না হয় সে মনোভান নিয়ে চলাচল করে সাবধানে।
এ জেলায় আগের চেয়ে বর্তমানে সাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক সচেতন মানুষ সাপ বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা স্বীকার করে বলেন এ জেলায় বনজঙ্গল উজার হয়ে যাওয়ার জন্য সাপ প্রকৃতিতে বের হয়ে আসছে। জলরায়ু ও পরিবশে ভারসাম্য এর পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির সাপ গুলো এখন মানুষের গরু ঘর, শোয়ার ঘর ও কাঠখড়ি রাখার ঘর সহ বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নিয়েছে। এতে মানুষ চলাফেরা করা সময়ে বিভিন্ন সময়ে সাপের আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
সাপের দংশনের শিকার হয়ে কেউ কেউ স্থানীয় ওঝাদের গাছে গিয়ে ভাল হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার মৃত্যুর কালো ঢলে পড়ছেন। বিষাক্ত সাপের দংশনের শিকার ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতাল গুলোতে নিয়ে গেলে তাদের কোন চিকিৎসাপত্র না থাকায় তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করছেন। অনেক মানুষ রংপুর যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। সাপের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ জেলার মানুষ দাবী জেলা সদর সহ প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভেকসিন সহ চিকিৎসক রাখার ব্যবস্থা করা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস