বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে পুলিশের গাড়িতে যে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেটি সাধারণ ককটেল থেকে শক্তিশালী ছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
আজ সোমবার সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া দেখতে এসে ডিএমপি কমিশনার এ কথা জানান।
গতকাল রবিবার রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী পুলিশ সদস্যসহ দু’জন আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের গাড়ি পেছনের দিক থেকে আংশিক পুড়ে যায়।
এ বিষয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ককটেল বিস্ফোরণে আহত রিকশাচালক লাল মিয়া মাথার স্কাব ভেঙে ব্রেইনে চাপ লেগেছে। গতরাতে তাঁর মাথার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখন সবকিছু নরমাল আছে। তবে সে এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। তার চিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হচ্ছে।
কারা কি উদ্দেশ্যে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম, ডিবি, সিআইডি ঘটনাস্থলে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। এটি কি ধরনের বিস্ফোরক তা কাউন্টার টেরোরিজমের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট খতিয়ে দেখছে। এটি পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো লক্ষে করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ককটেলটি পুলিশ ভ্যানে পেছনে আগে থেকেই রাখা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জনমনে ভীতি, নৈরাজ্য, অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য কোনো গোষ্ঠী এটি করতে পারে। জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা এই মুহূর্তে বলা যাবে না।
মালিবাগের ঘটনায় আহত নারী পুলিশ সদস্য রাশেদা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডিএমপি কমিশনার তার চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এম বিআর